ডোমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোর একটি নাইটক্লাবের ছাদ ধসে অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ। খবর বিবিসির।

নিহতদের মধ্যে প্রাদেশিক গভর্নর ও সাবেক মেজর লিগ বেসবল পিচার অক্টাভিও ডোটেলও রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান ৫১ বছর বয়সী ডোটেল।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে জেট সেট নাইটক্লাবে জনপ্রিয় মেরেঙ্গু গায়ক রুবি পেরেজের কনসার্টে এ ঘটনা ঘটে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

শত শত লোক ঘটনাস্থলের ভেতরে ছিল এবং প্রায় ৪০০ উদ্ধারকর্মী এখনও জীবিতদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টারের পরিচালক হুয়ান ম্যানুয়েল মেনদেজ জানান, ধসে পড়া ছাদের নিচে চাপা পড়াদের অনেকেই এখনো জীবিত আছেন বলে তিনি আশাবাদী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ইটক ল ব ন ইট ক ল ব

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: মাদারীপুরের ২ যুবক নিখোঁজ, পরিবারে মাতম

লিবিয়া থেকে স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মাদারীপুরের রাজৈর ও শিবচরের দুই যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে দালালচক্রের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন নৌকাডুবির খবর। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দুই যুবকের পরিবারে চলছে মাতম। এক মাস ধরে এই তাদের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম পশ্চিম তেলিকান্দির ছামির শেখ (২০) নিখোঁজদের একজন। গত ১৫ নভেম্বর লিবিয়া উপকূলে ঘটে যাওয়া নৌকাডুবির পর থেকে তার কোনো সন্ধান নেই। একই গ্রুপে থাকা লিবিয়া থেকে ফিরে আসা জামাল সর্দার জানান, সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ছামির নিখোঁজ হন।

আরো পড়ুন:

লিবিয়ায় নৌকাডুবি: ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

পরিবার জানায়, গোপালগঞ্জের ছাগলছিড়া এলাকার দালাল ইলিয়াসের মাধ্যমে ছমিরকে ১৯ লাখ টাকায় ইতালি পাঠানোর চুক্তি হয়। ১৬ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়ার পর ছামিরকে লিবিয়া পাঠানো হয়। 

নিখোঁজ ছমিরের মা সুফিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “শেষবার কথা হলে ও বলেছিল, মা ৩০ ঘণ্টা যোগাযোগ করতে পারব না। দোয়া করবেন।” এরপর থেকে ফোন বন্ধ। তিনি বলেন, “আমার ছেলেকে ফেরত এনে দেন, না হয় ওর কাছে পৌঁছে দেন। আমার ছেলের কোনো খোঁজ নাই।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশাত মাতুব্বর নিখোঁজ হন অপর এক নৌকাডুবিতে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দালাল কুদ্দুস তার পরিবারকে জানান, ইতালি যাওয়ার পথে যাত্রীবোঝাই ট্রলারটি ডুবে গেছে, বেশির ভাগই নিখোঁজ।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সরেজমিনে নিশাতের বাড়িতে দেখা যায়, পরিবাররে সদস্যরা আহাজারি করছেন। ৬ মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে নির্বাক নিশাতের স্ত্রী মেহেনাজ। মা সাবিনা বেগম বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন।

নিশাতের স্ত্রী মেহেনাজ জানান, স্থানীয় দালল কুদ্দুসের মাধ্যমে ২২ লাখ টাকার চুক্তিতে গত অক্টোবর মাসের শুরুতে মিশর হয়ে লিবিয়া যান নিশাত। ১০ নভেম্বর থেকেই তার ফোন বন্ধ। এক মাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর বৃহস্পতিবার আসে নৌকাডুবির খবর।

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, “পরিবার যদি আইনগত সহায়তা চায়, প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।”

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, “কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ