গলায় বেলুন আটকে ৭ মাসের শিশুর মৃত্যু
Published: 20th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বড় ভাইয়ের জন্মদিনে গলায় বেলুন আটকে রাফসা নামে ৭ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় চারিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশু রাফসা ওই এলাকার রনি মিয়ার সন্তান।
বারবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহাবুল আলম বলেন, সোমবার শিশু রাফসার বড় ভাই ইহানের চতুর্থ জন্মদিন ছিল। এ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যরা ইহানের জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি নেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইহানের বাবাসহ সবাই বেলুন ফুলিয়ে ঘর সাঁজাতে ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে, শিশু রাফসা খাটের উপর বসে বেলুন নিয়ে খেলছিল। দুর্ঘটনাক্রমে বেলুন গলায় আটকে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই শিশুটি মারা যায়। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মিলন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আলিফ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আলিফ উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের স্বল্পছাপিলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী কানন খানের ছেলে। সে স্বল্পছাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আলিফ। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে প্রতিবেশী ওয়াসিম খানের কচুরিপানাযুক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পাগলা থানা-পুলিশ জলাশয় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির প্রতিবেশী রাহাত খান বলেন, সৌদিপ্রবাসী কানন খানের একমাত্র ছেলে ছিল আলিফ। অনেকে বলছেন, শিশুটিকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পরিবারের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাঁচ দিনে শিশুটির মরদেহ গলতে শুরু করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।