বর্ষায় তিন মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে সড়কটিতে
Published: 13th, July 2025 GMT
বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিবছর আলোকদিয়ার বাসিন্দারা একই দুর্ভোগে পড়েন। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি কাদায় ডুবে যায়। এতে তিন মাসের বেশি সময় যান চলাচল একদম বন্ধ থাকে। বহু আবেদন নিবেদন করেও সড়কটি পাকা করাতে পারেননি গ্রামবাসী।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের নলকায় করতোয়া সেতুর পাশ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা আলোকদিয়ার গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী পাঁচিলা বাজার, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, উল্লাপাড়া উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। গ্রীষ্ম মৌসুমে রাস্তাটি ধুলায় আচ্ছন্ন থাকে। বর্ষা মৌসুমের পুরোটা সময় থাকে কাদা। এ সময় যানবাহন চলাচল দূরের কথা হেঁটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। দুর্ভোগ সয়ে কাদার মধ্যেই চলতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয়রা বহুবার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে আবেদন করেছেন। কিন্তু আমলে নেয়নি কেউই।
এ ব্যাপারে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্রশাসক উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো.
গ্রামবাসী জানান, নলকা-আলোকদিয়ার সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ডুবে থাকে আধ হাঁটু কাদায়। একবার বৃষ্টি হলে অন্তত সাতদিন চলে এর রেশ। বিশেষ করে, জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রাস্তায় যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। আলোকদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা প্রায় সাত হাজার। গ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পাঁচিলা বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়, নলকা ফুলজোর ডিগ্রি কলেজ, আলোকদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একাধিক মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। উপজেলা সদরেও যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। জুতা হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়ে পথচারীরা চলাচল করেন।
আলোকদিয়ার গ্রামের শাহাজাদা হোসাইন, শাহজাহান শাহীন, নাসির উদ্দিন ও আব্দুল মোমিন জানান, গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনেকবার রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাতে সাড়া না পেয়ে পাঁচ বছর আগে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যেমে রাস্তায় মাটি ভরাট করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বন্যা ও বৃষ্টিতে সেসব মাটি ধুয়েমুছে গেছে। এখন আবার আগের মতো বেহাল হয়ে গেছে রাস্তাটি। আলোকদিয়ার গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে এই রাস্তা পেরিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে, বৃষ্টির দিনে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া রাস্তাটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, নলকা-আলোকদিয়ার রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। তিনি আলোকদিয়ার গ্রামবাসীর সঙ্গে নিজে উদ্যোগী হয়ে বহুবার এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য উপজেলা পরিষদ ও তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গণআবেদন দিয়েছেন। বছরছয়েক আগে তদানীন্তন উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব রাস্তাটি পরিদর্শন করে পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। পরে আর কেউ এই রাস্তা সংস্কার বা পাকা করার উদ্যোগ নেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ এই র স ত গ র মব স র জন য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট