সোহাগ হত্যার তদন্তে জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
Published: 13th, July 2025 GMT
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জুডিশিয়াল কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। আগামীকাল শুনানির জন্য রিটটি আদালতের কার্য তালিকায় আসবে বলে জানা গেছে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, “নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আসামিরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য স্থল ও বিমান বন্দরগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারির নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।”
গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে। হত্যার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, এবং দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
নিহতের বোন ঢাকার কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার এ হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকা/কেএন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল