এসডিজি বাস্তবায়নকে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে যুক্ত করার তাগিদ
Published: 13th, July 2025 GMT
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নকে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সুস্পষ্টভাবে যুক্ত করা উচিত। এটি করলে দীর্ঘমেয়াদি নীতি নির্ধারণ ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে।
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে গতকাল অনুষ্ঠিত সাসটেইনেবিলিটি সামিটে এমন তাগিদ এসেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আকিজ বশির গ্রুপ এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের গ্রুপ সিইও এবং নির্বাহী সম্পাদক সাজিদ মাহবুব বলেন, ‘টেকসইতা এখন আর কোনো বিকল্প নয়, এটিই ভবিষ্যৎমুখী ব্যবসার ভিত্তি।
সাসটেইনেবিলিটি সামিটের দ্বিতীয় আসরের মাধ্যমে আমরা এমন একটি শক্তিশালী সংলাপ তৈরি করতে চাই, যা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের একত্র করে কার্যকর উদ্যোগে অনুপ্রাণিত করবে, উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে সম্মিলিত যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। এখনই আমাদের সচেতন ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।’
এ বছরের সামিটে মূল বক্তব্য দেন লিন্ডে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পরিচালক শেহজাদ মুনিম, এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ইউনেস্কো চেয়ার অধ্যাপক ড.
শেহজাদ মুনিম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন এখন কেবল একটি বিকল্প নয়, টিকে থাকার শর্ত। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার এবং আন্তঃখাত সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিবেশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন (ইএসজি) কোনো দাতব্য কাজ নয়, এটি ব্যবসা ও শাসন ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, পানি সংরক্ষণ কৌশল মিথেন গ্যাস নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করতে পারে এবং কার্বন ট্রেডিংয়ের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের পথ খুলে দিতে পারে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসড জ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট