মহাকাশে জ্বালানি ডিপো বসাতে চান ইলন মাস্ক
Published: 30th, July 2025 GMT
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক মঙ্গল অভিযানের নানা কৌশল নিয়ে ব্যস্ত। মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশযানের জ্বালানি রিফিলের জন্য ডিপো বসাতে চান। সেই ডিপো থেকে জ্বালানি নেবে স্টারশিপ। মহাকাশযাননির্ভর অভিযানের খরচ কমানোর লক্ষ্যে কাজের অংশ হিসেবে মহাকাশে জ্বালানি ডিপো স্থাপন করতে চান ইলন।
ইলন মাস্ক তাঁর স্টারশিপ রকেটের জন্য কক্ষপথে একটি ডিপো বসাতে চেষ্টা করছেন। যদিও রিফুয়েলিংয়ের এ ব্যবস্থাকে একটি প্রকৌশল বাধা হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। মাস্ক এমন একটি সিস্টেম তৈরির জন্য কাজ করছেন, যেখানে দুটি বিশাল মহাকাশযান অপেক্ষা করতে পারবে। চাঁদসহ মঙ্গল গ্রহে অভিযানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অভিযানে এই ডিপো কাজে আসবে। একটি সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেটব্যবস্থা তৈরির অংশ হিসেবে এমন জ্বালানি ডিপোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। এতে মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফিরে আসার বদলে মহাকাশ থেকেই জ্বালানি নিয়ে চলার সুযোগ তৈরি হবে।
ভবিষ্যতের অভিযানকে সহজ করার জন্য এই অরবিটাল প্রোপেল্যান্ট ডিপো তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইলন। ইলন মাস্ক আরেকটি ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ হিসেবে মহাকাশযানের পুনর্ব্যবহারযোগ্য তাপ ঢাল ব্যবস্থার কথা জানান। তিনি বলেন, এই কাজ কেউ কখনো আগে করেনি। মহাকাশযানের তাপ ঢাল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের পর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। স্টারশিপকে অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর করতে এই প্রকৌশল সমস্যা সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্টারশিপের লক্ষ্য উৎক্ষেপণের খরচ নাটকীয়ভাবে কমানো। একটি সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট ও বুস্টার সিস্টেম মূল ফ্যালকন ১ রকেটের তুলনায় খরচ কমিয়ে আনবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫