ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে এসে দুপুর ১১টার দিকে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।প্রথমে তাকে পাশের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাহউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

আরো পড়ুন:

অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

বুধবার বাদ জোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে সাঈদুর রহমান রিমনের কফিনে শ্রদ্ধা অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।

এর আগে সাঈদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উমর ফারুক আলহাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।

এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আকতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি গাজীপুরের দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর আগে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, সংবাদ, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য প্রতিভার অধিকারী তিনি ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিংসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য। 

সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া। 

আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ