মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ভাকুম এলাকায় একটি প্লাস্টিক বস্তা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘নিলিমা ব্যাগ মিল লিমিটেড’ নামের কারখানাটিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিঙ্গাইর ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও মানিকগঞ্জ ও সাভারের হেমায়েতপুর চামড়াশিল্প এলাকা থেকে মোট পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সেনাবাহিনীর একটি দলও উদ্ধারকাজে সহায়তা করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কারখানার এক শ্রমিক ফাহিম হোসেন বলেন, একটি আইপিএস (ইনভার্টার) থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।

কারখানার মালিক আনিসুর রহমান বলেন, আগুনে তাঁর ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সিঙ্গাইর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মহিবুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ