২০১৫ সালে নির্যাতনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।

ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী ও ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে ঢাকার আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান।

মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন— আসিফ আহমেদ (রসায়ন ৩৯তম ব্যাচ), মোহাম্মদ নাজিমুল ইসলাম ওরফে বোরন (অর্থনীতি ৪২তম ব্যাচ), মো.

আমান উল্লাহ (দর্শন ৪২তম ব্যাচ), মো. জায়মান আলী প্রিন্স (প্রত্নতত্ত্ব ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ কৌশিক রহমান (লোক প্রশাসন ৪২তম ব্যাচ), মো. শাহরুখ শাহরিয়ার ওরফে সৌমিক (লোক প্রশাসন ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ ইয়াসিন (ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান ৪২তম ব্যাচ) এবং মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ (লোক প্রশাসন ৪২তম ব্যাচ)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শেষে আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রসায়ন বিভাগের গ্যালারিতে প্রবেশ করে জহির উদ্দিন বাবরের ওপর হামলা চালায়। তাকে টেনে-হিঁচড়ে ভবনের সামনে এনে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এ সময় লোহার রড ও পাইপ দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়।

এছাড়াও নাজিমুল ইসলাম ওরফে বোরন তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে বাবরের ডান পায়ে মারাত্মক আঘাত করলে হাড় ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীদের সহায়তায় তিনি উদ্ধার হন এবং প্রথমে জাবি মেডিক্যাল সেন্টারে এবং পরে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “শুধু রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কারণে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে এবং আমার শিক্ষা জীবন ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। দেশের বৈরী রাজনীতিক পরিবেশের কারণে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। বৃহস্পতিবার আমি আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমার প্রত্যাশা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করবে।”

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ৪২তম ব য চ ম হ ম মদ ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ