টাঙ্গাইলে এক মৎস্য খামারির কাছে ৫ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুবায়ের আহমেদ, শহর বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানী, শহর বিএনপির সদস্য ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া এবং দলটির কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া। অন্যদিকে অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম আজহারুল ইসলাম। তিনিও সন্তোষ এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও অভিযোগকারীর সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আজহারের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা দাবির ওই চিঠি দিয়ে যান অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। পরে গতকাল সেটি হাতে পান আজহারুল। চিঠিটি ‘কিলার গ্রুপ, হত্যাকারী দল’-এর প্যাডে লেখা। দলটির স্লোগান হিসেবে লেখা আছে ‘চাঁদা দে, নইলে জীবন দে’। এতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার সময় সাবেক সংসদ সদস্য কাগমারী মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনের একটি গাছের নিচে রেখে যেতে বলা হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন বা পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকিও দেওয়া হয়। গতকাল চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন আজহারুল ইসলাম। এতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাব্বির মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিএনপির ওই ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হেয় করার জন্য তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে এলাকায় কোনো বদনাম নেই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শহর ব এনপ র গ র প ত র কর ব এনপ র স আজহ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ