ইসলামে আত্মিক শান্তি বাড়ানোর ৩ উপায়
Published: 19th, August 2025 GMT
আমাদের জীবনের বড় একটি লক্ষ্য হলো সুখী হওয়া। প্রায়ই আমরা শারীরিক আর্থিক সাফল্য বা সামাজিক স্বীকৃতিকে সুখ অথবা প্রশান্তির মানদণ্ড ভেবে নিই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের প্রকৃত সুখ নির্ভর করে অন্তরের প্রশান্তির ওপর—যা আসে আধ্যাত্মিক শান্তি থেকে।
আধ্যাত্মিক শান্তি মানে কেবল যে একটি ভালো অনুভূতি, তা নয়; বরং এটি এমন এক প্রশান্তি ও তৃপ্তি যা জীবনের ঝড়ঝাপটাতেও হৃদয়কে দৃঢ় রাখে। এর মূল উৎস হলো আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা।
আধ্যাত্মিক শান্তি মানে কেবল যে একটি ভালো অনুভূতি, তা নয়; বরং এটি এমন এক তৃপ্তি যা হৃদয়কে দৃঢ় রাখে। এর মূল উৎস হলো আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক।আজকে ৩টি সহজ কিন্তু গভীর অনুশীলনের কথা বলা হলো, যা আমাদের সেই মানসিক শান্তি বাড়িয়ে আধ্যাত্মিক প্রশান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুনসবচেয়ে সুখী মানুষ হওয়ার শিক্ষা নবীদের জীবন থেকে২০ জুলাই ২০২৫১.আল্লাহর স্মরণে অন্তর সজীব রাখা
হৃদয় যেমন খাদ্য ছাড়া টিকে থাকতে পারে না, তেমনি আত্মাও আল্লাহর স্মরণ ছাড়া শূন্য হয়ে পড়ে। জিকির, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত—এসব আমাদের মনকে পরিষ্কার করে, উদ্বেগ কমায় এবং আল্লাহর নৈকট্যের স্বাদ এনে দেয়।
জীবনের ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন কিছু সময় শুধু তাঁর কথা মনে করে কাটানো, ‘আল্লাহু আকবার’ বা ‘সুবহানাল্লাহ’ এরকম ছোটো ছোটো দোয়া ও জিকির করা, এমনকি নীরবে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও হৃদয়ে শান্তি আনে।
২. কৃতজ্ঞতার চর্চাএটি সুখ বাড়ানোর একটি সহজ সূত্র। আমরা অনেক সময় যা নেই তার দিকে তাকিয়ে দুঃখ পাই, অথচ যা আছে তার হিসাব করলেই বোঝা যায় আমরা কত কিছু পেয়েছি। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ’তোমরা যদি কৃতজ্ঞ হও, আমি তোমাদের আরও দান করব।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৭)
আরও পড়ুনভোগবাদী যুগে ইসলামে সুখের খোঁজ০১ আগস্ট ২০২৫তোমরা যদি কৃতজ্ঞ হও, আমি তোমাদের আরও দান করব।সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৭দিনের শেষে নিজের জীবনের ছোট ছোট নিয়ামত গুনে দেখা—সুস্থতা, পরিবারের ভালোবাসা, নিরাপদ ঘুম, এমনকি আজকের ভালো খাবার—এসব মনে করা ও আল্লাহকে ধন্যবাদ জানানো আমাদের প্রশান্তির অনুভূতিকে দ্বিগুণ করে দেয়।
৩. ইতিবাচক বিষয়ে মনোযোগআমাদের মন একটি বাগানের মতো। আমরা যেটি বেশি লালন করি, সেটিই বাড়ে—তা ফুল হোক বা আগাছা। তাই নেতিবাচক চিন্তা, অভিযোগ ও হতাশাকে কমিয়ে জীবনের ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবা জরুরি। বন্ধু, সহকর্মী, প্রতিবেশীর সদয় আচরণ, প্রকৃতির সৌন্দর্য, একটি সৎ কাজের সুযোগ—এসব ছোটখাটো ইতিবাচকতা আমাদের মনকে আলোকিত করে। যখন আমরা ভালো দিকগুলোকে কেন্দ্র করে বাঁচি, তখন জীবনও ভালো হয়ে ওঠে।
আধ্যাত্মিক প্রশান্তির যাত্রা কোনো একদিনে শেষ হয় না—এটি প্রতিদিনের অনুশীলন। আল্লাহর স্মরণ, কৃতজ্ঞতার চর্চা ও ইতিবাচক চিন্তাকে জীবনের অংশ বানালে আমরা শুধু নিজেদের জন্যই নয়, আশেপাশের মানুষদের জন্যও সুখ ও প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠতে পারি।
আরও পড়ুনভুলে যাবেন না, শরীরচর্চা একটি সুন্নত০২ আগস্ট ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র আল ল হ জ বন র
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন