জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা সচিবালয়ের দুই নম্বর ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সেসময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এতে সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

ইবিতে অভ্যুত্থানবিরোধী ১৯ শিক্ষকসহ ৬১ জনের শাস্তির সুপারিশ

দেশে কিছু ভুয়া সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে: দুদক চেয়ারম্যান

অবস্থান কর্মসূচিতে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা ‘পদত্যাগ পদত্যাগ, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাই’; ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ’; ‘খুনিরা বাইরে ঘোরে, বিচার বিভাগ কী করে’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’সহ নানান স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, অর্থের বিনিময়ে জুলাই গণহত্যার আসামিরা জামিন পাচ্ছেন। অথচ আইন উপদেষ্টা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল করিম বলেন, “এক বছর পরেও আমরা আমার সন্তান হত্যার বিচার পাইনি। সরকার বিচারের নামে তামাশা করছে। আসামিরা অর্থের বিনিময়ে জামিন নিচ্ছে, অথচ আইন উপদেষ্টা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।”

শহীদ তায়িমের ভাই শরিফুল বলেন, “আমরা এই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।”

শহীদ শেখ শাহরিয়ারের বাবা আবদুল মতিনের ভাষ্য, “এক বছর ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আইন মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হলেও কেবল প্রহসন করা হচ্ছে।”

জুলাই আহত আমিনুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জুলাই আহত ব্যক্তিরা যদি আবার রাস্তায় নামেন, তাহলে পরিণাম ভালো হবে না। শহীদ পরিবার কাউকে ভয় পায় না।”

শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। অথচ আজ আমাদের আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”

এদিকে, অবস্থান কর্মসূচির আগে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

শহীদ আহনাফের মা সাফাত সিদ্দিকী বলেন, “পুলিশ জুলাই শহীদ পরিবারকে বিশ্রীভাবে গালি দিয়েছে। আমাকে লাথি মেরেছে। আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। দাবি আদায় করেই ছাড়ব।”

ঢাকা/আসাদ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন আইন উপদ ষ ট র পদত য গ র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
  • সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত