ঈদগাঁওয়ে সরকারি বই বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
Published: 19th, August 2025 GMT
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে সরকার থেকে বিনামূল্যে দেওয়া পাঠ্যবই বিক্রির সময় ধরা পড়েছেন নাইক্ষ্যংদিয়া এসটি দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই দুজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নাইক্ষ্যংদিয়া এসটি দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট রুকম উদ্দীন রবিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কেজি নতুন বই মহেশখালীর এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়রা তাদের ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। পরদিন সোমবার (১৮ আগস্ট) উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখায়। আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন—মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার রুকম উদ্দীন, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দীন, বই ক্রেতা মোহাম্মদ ইমরান এবং গাড়িচালক আজমত আলী।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মছিউর রহমান বলেছেন, “সরকারি বই বিক্রির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা জানিয়েছেন, সরকারি পাঠ্যবই ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/তারেকুর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।