গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বাকি দিতে না চাওয়ায় হোটেল মালিকের ছেলেকে গুলি করা যুবক গোলাপ প্রামাণিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাটির নিচ থেকে পিস্তুল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গাইবান্ধার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এদিন দুপুর ১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক রুহিয়া গ্রামের হামীম আদনান ফিশারি গেট-সংলগ্ন একটি ঘরের পিছনে মাটির নিচ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। 

‎‎পুলিশ জানিয়েছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের নাপিতের বাজারে হোটেল মালিকের ছেলে ওয়াসিমসহ দুজনকে গুলি করার অভিযোগে গোলাপ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট সাদুল্লাপুর থানায় মামলা করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে জিপির কার্যালয়ে তালা, অন্য কাউকে নিয়োগের দাবি

মানিকগঞ্জে নাশকতার মামলায় আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার

গোলাপ প্রামাণিক আদালতে থাকা অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সবুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের সহায়তায় আসামি গোলাপের সঙ্গে কথা বলেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

‎সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার জানিয়েছেন, একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/মাসুম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। 

মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ ও অস্ত্রত্যাগের প্রস্তাব মাওবাদীদের
  • মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার