“সাংবাদিক সুরক্ষা আইন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
Published: 24th, August 2025 GMT
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার রক্ষা, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (২৪ আগস্ট) রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ এর আয়োজনে “সাংবাদিক সুরক্ষা আইন” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মোছাঃ আছিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে ও নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ আবুল বাসার মজুমদারের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সংস্থা’র মহাসচিব মোঃ আলমগির গনি।
এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন নীতি নির্ধারক পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি মোঃ শাহজাহান মোল্লা, নীতি নির্ধারক পরিষদ সদস্য মুহম্মদ মনজুর হোসেন, নির্বাহী পরিষদ সহ-সভাপতি নাহিদ মিয়া ও শাহআলম স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন সিকদার মোহাম্মদ আরিফুল আলম টিটো, এম এ আকাশ, আবু মুছা, ছাব্বির আহমেদ সেন্টু, আহমেদ আলী , সহকারী মহাসচিব মোঃ নাজমুল হুদা, সরকার জামাল, মোঃ আনোয়ারুল হক, প্রিয়াঙ্কা ইসলাম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, নাজির হোসেন, মোঃ আনিসুর রহমান প্রধান, ইকরামুল হাসান সোহেল, সাংগঠনিক সচিব মোঃ রাসেল সরকার, আঃ সবুর, তৌহিদ রিপন, রাজিব তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার হোসেন আলী, অর্থ সচিব সানবির হোসেন, দপ্তর সচিব মোঃ রাব্বী মোল্লা, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব এ কে নান্নু খান,জনকল্যাণ সচিব মোঃ রাসেল ইসলাম, সহ-দপ্তর সচিব আমজার সাহ, আইন বিষয় সচিব মোঃ ওয়াহিদুন নবি বিপ্লব, আন্তর্জাতিক বিষয় সচিব মোঃ মহাসিন উদ্দিন, মনজুরুল হাসান, তথ্যপ্রযুক্তি সচিব বাপ্পি আহমেদ শ্রাবণ, পাঠাগার সচিব মাসুদ আলম, পরিকল্পনা ও গবেষণা সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম, ক্রিয়া সচিব আলহাজ্ব আমির হোসেন, মহিলা বিষয় সচিব আমেনা আক্তার বিউটি, ছুইটি আক্তার, নির্বাহী সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আকাশ, খলিলুর রহমান, মোঃ শহিদুল ইসলাম ও লিটন সহ অনেকেই।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় একটি কার্যকর ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন আজ সময়ের দাবি। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়িত হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহত হবে, একইসঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা আরও নিরাপদ ও নির্ভীকভাবে কাজ করতে পারবেন।
তারা আরো উল্লেখ করেন যে, সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে প্রণীত এ আইন নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বিশ্বাস করে—এই আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা পেশাগত ঝুঁকি মোকাবিলায় সাহসী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ভবিষ্যতে আরও কার্যকর আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গণম ধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল