সাকিব আল হাসানের বলে ছক্কা হাঁকালে উইকেটও হারাতে হয়, ক্রিকেট প্রেমিদের মুখে-মুখে এমন কথার ‘চলন’ আছে। যা সম্পূর্ণই ‘মিথ’। তবে অতীতে এমন কিছু দেখা গেছে কয়েকবার। আবার কখনো হয়নি-ও।   

রোববার ক‌্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এমন কিছুরই দেখা মিলল। সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকানোর দুই বল পরই মোহাম্মদ রিজওয়ান সহজ ক‌্যাচ দেন সাকিবের হাতে। বল মুঠোবন্দি করতেই ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে সাকিব লিখে ফেলেন নিজের নাম। 

আরো পড়ুন:

সাকিবের ব্যাটে ব্যর্থতা, বল হাতে অবদান, জিতে শীর্ষে অ্যান্টিগা

ব্যাটে-বলে অনুজ্জ্বল সাকিব, তবুও অ্যান্টিগার জয়

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। ক্রিকেট বিশ্বের পঞ্চম বোলার হিসেবে সাকিব ৫০০ উইকেটের দেখা পেলেন। তার উপরে আছেন ইমরান তাহির (৫৫৪), সুনীল নারিন (৫৯০), ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১) ও রশিদ খান (৬৬০)।

তবে তাদেরকে ছাড়িয়ে অনন‌্য এক নজির গড়েছেন সাকিব। অসাধারণ এক ডাবলে নিজের নাম তুলেছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ উইকেট এবং ৭০০০ রানের কীর্তি গড়েছেন সাকিব। 

৭০০০ রান সাকিব অনেক আগেই ছুঁয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪৫৬ ম‌্যাচে তার রান ৭৫৮৫। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম‌্যাটে ৭ হাজারের বেশি রান আছে আরো অনেক ক্রিকেটারেই। তবে বোলিংয়ে একই সঙ্গে ৫০০ উইকেট পাননি আর কেউ। 

সাকিব এলিট ক্লাব খুললেন রোববার। অ‌্যান্টিগা ও বারবুডা ফ‌্যালকনসের হয়ে এদিন ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে সেন্ট কিটস ও নেভিস পেট্রিয়টসের ব‌্যাটসম‌্যান রিজওয়ানের উইকেট নিয়ে রেকর্ডের পাতায় নাম তোলেন। 

আগের চার ম‌্যাচে তার উইকেট ছিল কেবল ১টি। রেকর্ড গড়ার দিনে দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আরো ২ উইকেট নেন। সব মিলিয়ে ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ রানে ৩ উইকেট নেন। জ্বলে উঠার দিনে সাকিব ছিলেন দলের সেরা।  

ব‌্যাটিংয়েও দায়িত্বশীল ছিলেন সাকিব। দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ১৭ বলে ২৫ রান করেন। বাঁহাতি স্পিনার আশমেয়াদ নেডকে ছক্কা ও চার উড়ান চোখের পলকে। পূরণ করেন সিপিএলে ৫০০ রানের মাইলফলক। পরে নাসিম শাহকে ফ্লিক করে ছক্কা উড়িয়ে দলের রান একশতে নিয়ে যান বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। দলের জয়ের থেকে ২৮ রান দূরে থাকতে সাকিব আউট হন বিডাইসির বলে। তার অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে জয়ে ফিরেছে অ‌্যান্টিগা। 

সেন্ট কিটসকে ১৩৩ রানে আটকে রেখে অ‌্যান্টিগা ম‌্যাচ জিতে নেয় ৭ উইকেটে। ইতিহাস গড়ার দিনে মৌসুমের প্রথম ম‌্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব। যা টি-টোয়েন্টিতে তার ৪৪তম ম‌্যাচ সেরার পুরস্কার। 

নিজের বোলিং কীর্তি নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘‘এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ার, তাই আমি যা অর্জন করেছি তাতে আমি খুশি। আমি খুব বেশি বোলিং করিনি, তাই একটু নার্ভাস ছিলাম। যেটাই করি দলের হয়ে অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন ক র ক ট র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর

আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।

সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।

আরো পড়ুন:

শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?

ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া

কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”

৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।

২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।

কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।

তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।

কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।

অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যালবামের গল্প বলবে ‘পেনোয়া’
  • বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া
  • খেলার নামে আদম পাচার ঠেকাতে তৎপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
  • বোলাররা ভাসান, ব্যাটসম্যানেরা ডোবান—আজ কী করবে বাংলাদেশ
  • ২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর