ভারতের জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি গেমিং কোম্পানি ‘ড্রিম১১’ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) তাদের স্পনসরশিপ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সরকারের নতুন আইনে অর্থভিত্তিক অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পনসরশিপ এখন শূন্য। আর নতুন স্পনসর খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড)। তবে চলতি এশিয়া কাপ শুরুর আগেই নতুন কোনো স্পনসর নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

রবিবার পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়া নিশ্চিত করেছেন, ড্রিম১১ আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত থাকছে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নীতিমালার কারণে ড্রিম১১ কিংবা অন্য কোনো অনুরূপ গেমিং কোম্পানির সঙ্গে বোর্ড আর এগোতে পারবে না। বাধ্য হয়েই আমাদের বিকল্প স্পনসর খুঁজতে হচ্ছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’’

আরো পড়ুন:

ওপেনিংয়ে তারকার ভিড়, এশিয়া কাপ দল নিয়ে ধন্দে ভারত

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন পেছাল

নতুন আইন অনুযায়ী, কেউ অনলাইন টাকা দিয়ে গেম খেলতে উৎসাহিত করতে পারবে না। এমনকি কোনো বিজ্ঞাপনও দেওয়া যাবে না। আইন ভঙ্গ করলে এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা কিংবা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।

ড্রিম১১ গত বছর তিন বছরের জন্য ভারতীয় জাতীয় দলগুলোর (পুরুষ, নারী, অনূর্ধ্ব–১৯ ও অনূর্ধ্ব–২৩) টাইটেল স্পন্সর হয়েছিল ৩৫৮ কোটি রুপিতে (প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার)। এখনো চুক্তির এক বছর বাকি থাকলেও তারা কোনো জরিমানা ছাড়াই সরে দাঁড়াচ্ছে।

বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘এটা ড্রিম১১-এর দোষ নয়। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই কোনো ধরনের জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে না। তবে স্বল্পমেয়াদে আমাদেরও আয়ের ওপর প্রভাব পড়বে। নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।’’

তিনি আরও জানান, ভারতের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ শুরু হতে মাত্র ১৫ দিন বাকি, এই স্বল্পসময়ে নতুন স্পনসর খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হবে। কারণ, প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিড আহ্বান, যাচাই–বাছাই এবং শেষে বিজয়ী ঘোষণা করতে সময় লাগে।

ড্রিম১১ সরে দাঁড়ানোর প্রভাব পড়তে পারে আইপিএলেও। অন্য ফ্যান্টাসি কোম্পানি ‘মাই১১সার্কেল’, যারা পাঁচ বছরের জন্য ৬২৫ কোটি রুপির চুক্তি করেছে, তারাও বড় ধরনের ধাক্কায় পড়তে পারে। যদিও বিসিসিআই মনে করছে, আইপিএলের জন্য এখনো যথেষ্ট সময় আছে, প্রয়োজনে নতুন করে প্রক্রিয়া চালু করা যাবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই স পনসর

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রামীণ হেলথ টেকের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘রাইজ অ্যাবাভ অল’ 

ঢাকার খামারবাড়ি এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী পাবলিক স্পিকিং প্ল্যাটফর্ম ‘রাইজ অ্যাবাভ অল’-এর নবম আসর। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, উদ্যোক্তা এবং চেঞ্জমেকার একত্রিত হয়েছিলেন।

২০২৫ সালের সংস্করণটি ছিল আগের সব আয়োজনের চেয়ে বড় ও প্রাণবন্ত। এ বছর ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্ল্যাটফর্ম ‘সুখী’ টাইটেল স্পনসর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ছিল সহযোগী স্পনসর হিসেবে। পাশাপাশি মাস্টারকার্ড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার এবং গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণ হেলথটেক লিমিটেডের সিইও ড. আহমেদ আরমান সিদ্দিকী বলেছেন, “এই আয়োজন কেবল একটি মঞ্চ নয়, এটি স্বপ্ন দেখার সাহস আর সীমানা ভেঙে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণার গল্প। আমাদের স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারের নাগালের মধ্যে ডাক্তার, ডায়াগনস্টিক, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণের শক্তি আপনারা, যারা উদ্ভাবন করেন, বদল আনেন আর নতুন সম্ভাবনা গড়ে তোলেন। আপনি প্রযুক্তি, ব্যবসা বা চিকিৎসা যে ক্ষেত্রেরই শিক্ষার্থী হন না কেন, আপনার দক্ষতা লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাময়, উন্নতি ও ক্ষমতায়নে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যৎ কেবল হাসপাতালেই গড়ে উঠবে না, এটি গড়ে উঠবে শ্রেণিকক্ষে, স্টার্টআপে, ল্যাবে এবং কমিউনিটির মধ্যে আপনাদের মাধ্যমেই।”

ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রেরণা, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল এবং অসাধারণ কিছু ব্যক্তিত্ব, যা তরুণদের জীবনের প্রতিবন্ধকতা জয় করতে এবং নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। এক মাসব্যাপী ক্লাব অ্যাক্টিভেশনের মাধ্যমে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫টি ক্লাবে পৌঁছানো হয়েছে, যেখানে পুশআপ চ্যালেঞ্জের প্রাইমারি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেরা ১৭ জন ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয় এবং সেখান থেকে বিজয়ী জিতে নেন ‘সুখী’র সৌজন্যে একটি ব্র্যান্ড নিউ আইফোন ১৭ প্রো।   

বক্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন—সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আলী রেজা ইফতেখার, রুবাবা দৌলা, মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, নাসিমুল বাতেন, নাসের এজাজ বিজয়, রেজওয়ানুল হক, তানজীন আলম, রুবানা হক, ওয়াহিদা শারমিন, সানজিদা জান্নাত (বক্সার), শুভাশিস ভৌমিকসহ অনেকে। মিডিয়া অঙ্গন থেকে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় তারকা জাহিদ হাসান, আরিফিন শুভ এবং তাসনিয়া ফারিন। সন্ধ্যায় নেমেসিস ব্যান্ডের লাইভ পারফরমেন্সের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটির পর্দা নামে।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রামীণ হেলথ টেকের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘রাইজ অ্যাবাভ অল’