অধ্যাদেশ হলেই ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু নির্বাচন: উপাচার্য
Published: 25th, August 2025 GMT
অধ্যাদেশ হলেই ১৫ দিনের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় উপাচার্যের অফিস কক্ষে মুভমেন্ট ফর ইকসু প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ডাকসুর ভোটার তালিকায় ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুকদের আবেদনের আহ্বান
ডাকসু নির্বাচন: ব্রেইল পদ্ধতিতেও ব্যালট পেপার ছাপানো হবে
তিনি বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিদ্যমান আইনে ইকসুর কোনো বিধান নেই। তাই এটিকে কিভাবে করা যায়, তার জন্য আমরা গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরির জন্য শিক্ষক-ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করব। পরে সিন্ডিকেটে ওই খসড়া পাশ করে ইউজিসিতে পাঠাব। ইউজিসি থেকে অনুমোদন হলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে এটি অধ্যাদেশ আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অর্গানমে যুক্ত হবে। অধ্যাদেশ পাশ হলেই শিক্ষার্থীরা চাইলেই আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ইকসু নির্বাচনের আয়োজন করবো। ইকসু গঠনের খসড়া তৈরি ও অধ্যাদেশ আকারে পাশের সকল প্রক্রিয়া আগামী নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করব।”
এ সময় সাজিদ হত্যার বিচার, জুলাই বিরোধীদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও লগো সম্বলিত ভুয়া পেইজ বন্ধের পদক্ষেপের আশ্বাস দেন তিনি।
আইনের জটিলতা ছাড়াও ইকসু গঠনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উপাচার্য বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে ডাকসুর জন্য বরাদ্দ থাকে। সেখানে ডাকসুর প্রত্যেক পদধারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বাজেটে এমন কোনো আলাদা বরাদ্দ নেই। তাহলে এই টাকাটা কাকে, কিভাবে দেবে? এজন্যই দরকার একটা আইনি বৈধতা। আর এটা হলেই এ বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে ততদিন ইকসু হবে, এটি একটি স্থায়ী প্রক্রিয়া।”
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম মুভমেন্ট ফর ইকসুর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাপে পরিচয়-প্রেম, বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলেন চীনের যুবক
ভাষা, সংস্কৃতি ও হাজার মাইলের দূরত্বকে হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ভালোবাসার টানে এক তরুণীকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে এসেছেন চীনের এক যুবক। গত শুক্রবার রাতে চীন থেকে ঢাকায় পৌঁছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক তরুণীর বাসায় আসেন তিনি। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁরা বিয়ে সম্পন্ন করবেন।
চীনের যুবকের নাম ওয়াং তাও (৩৬)। চীনের হোয়ানান প্রদেশের ওয়াং ইচাং চাওয়ের ছেলে তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তারের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তাঁর। সুরমা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং ঢাকার লালবাগে থাকেন। আজ রোববার তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন বলে তরুণীর পরিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান চীনের যুবক ওয়াং তাও। বিমানবন্দর থেকে চীনের যুবককে আতিথেয়তা দিয়ে নিজ বাড়ি নাসিরনগরের কুন্ডার কোনাপাড়ায় নিয়ে আসেন তরুণী সুরমাসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও তরুণীর পরিবারের দাবি, দেড় থেকে দুই মাস আগে ডেটিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে সুরমার পরিচয় হয়। তাঁরা নিয়মিত চ্যাটে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। বিষয়টি চীনের যুবক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণী নিজ নিজ পরিবারকে জানান। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁরা একে অপরকে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। পরে চীনের যুবক বাংলাদেশ ও চীনের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে দুপুরের পর থেকে চীনের যুবককে দেখার জন্য সুরমার বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
সুরমা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ওয়ার্ল্ড টক’ অ্যাপের মাধ্যমে চীনের যুবক ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে চ্যাট করতেন। একপর্যায়ে তাঁরা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সুরমার মা নুরেনা বলেন, ‘আমার মেয়ের ভালোবাসা পেতে চীন থেকে যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চলে এসেছে। ওই যুবক কোনো ধর্মই বিশ্বাস করে না। মেয়েকে বিয়ে করতে প্রয়োজনে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। আগামীকাল (আজ) রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মুসলিম রীতি মেনে সুরমাকে বিয়ে করবে চীনের যুবক। এতে দুই পরিবারের সম্মতি আছে। আমরা এই বিয়েতে আনন্দিত। মেয়ের খুশিই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
নাসিরনগর থানার কুন্ডা বিট উপপরিদর্শক (এসআই) জাহান-ই-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে কুন্ডা গ্রামে যাই। পাসপোর্ট দেখে নিশ্চিত হলাম যে যুবক চীনের নাগরিক। ওই তরুণী ঢাকার লালবাগে থাকেন। ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। চীনের যুবক ইংরেজি বোঝেন না। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথা বলতেন। তরুণী ও তাঁর পরিবার জানিয়েছে, রোববার হলফনামার মাধ্যমে চীনের যুবক মুসলিম হবেন। তারপর তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।’ তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, চীনের যুবক এক থেকে দেড় মাস থাকবেন। যাওয়ার সময় হয় ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বা পরে নিয়ে যাবেন।