দীর্ঘ ২৮ দিন ধরে কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ) ডিগ্রির দাবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পরে একই দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি ছাড়া তারা ক্লাসে ফিরবে না। তবে শিক্ষকরা বলছে এটা অযৌক্তিক ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের জন্য আত্মঘাতী হবে। 

আরো পড়ুন:

ডিপ্লোমাদের অযৌক্তিক কোটার প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ডাকসুর ভোটার তালিকায় ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুকদের আবেদনের আহ্বান

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানের ফলে বিষয়টির সমাধানে সুপারিশ বা রিপোর্ট প্রদানের জন্য আট সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১৬ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ইআরপি প্রোফাইলের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করে। অনুষ্ঠিত ভোটে পশুপালন অনুষদের ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে এবং মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে ভেটেরিনারি অনুষদের ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে এবং ২০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ডিভিএম ডিগ্রির পক্ষে মত দেন। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ওই ভোটের ফলাফলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে।

এতে বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বাহা) সভাপতি অধ্যাপক ড.

মো. আবুল হাশেম বলেন, ভোটের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীও যদি কম্বাইন্ডের পক্ষে ভোট দেয়। তবুও এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা কেবল স্নাতক অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই এই সেক্টরের অংশীদার নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা যথেষ্ট প্রাজ্ঞ নয় বলে আমরা মনে করি। প্রাণীসম্পদ সেক্টরে আরো অংশীজন আছে, তাদের মতামত নেওয়া প্রয়োজন ছিল।”

তিনি বলেন, “ডিগ্রি পরিবর্তন বা অনৈতিক কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রিধারীদের চাকরিক্ষেত্র প্রসারিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা অতিসত্বর ক্লাস পরীক্ষায় ফিরবেন বলে আশা করছি।”

এ বিষয়ে পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহুল আমিন বলেন, “আমি যদি ছাত্র হতাম আমিও কম্বাইন্ডের কথাই বলতাম। কারণ ছাত্ররা চায় চাকরি বা কর্মসংস্থান আর শিক্ষকরা চায় জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে। আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারিনি বলে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে না অথবা কর্মসংস্থান সংকীর্ণ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি সরকারের পলিসির ব্যাপার আমরা শুরু থেকেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু পারছি না।”

তিনি বলেন, “এই দুই অনুষদকে এক করার জন্য বহু চেষ্টা এর আগেও হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। কারণ পশুপালন হচ্ছে পশু ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন এবং পশু চিকিৎসার জন্য ভেটেনারি একটা আলাদা অবস্থান থাকতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা যদি লাইফস্টক সেক্টরকে দুই ভাগে ভাগ করে একটি পশু চিকিৎসা এবং প্রোডাকশনকে আলাদা করতে পারতাম, তবে বাংলাদেশের লাইভস্টক সেক্টর অনেক অনেক উচ্চ লেভেলে যেয়ে পৌঁছাত। আজ যদি অ্যানিম্যাল প্রোডাকশনের ওপর কোনো গ্রাজুয়েট না থাকে, তাহলে এই সেক্টরের উন্নতি হবে না। যেখানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, এমডিজি, এসডিজি ও ডেলটা প্লান-২১০০ এই মেগা প্রজেক্টগুলোতে দেখবেন অ্যানিম্যাল প্রোডাকশনের উপর প্রচুর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । তাই পশুপালনের উপর স্বতন্ত্র ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ