কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
Published: 25th, August 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কৃষক কাঞ্চন মিয়া হত্যা মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন ও অপর একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহাগ রঞ্জন পাল এ রায় ঘোষণা করেন। জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো.
আরো পড়ুন:
মাসে একবার সাক্ষাতের সুযোগ, আদালত প্রাঙ্গণে অশ্রুসিক্ত বাবার কোলে শিশু
ময়মনসিংহে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের চারিতলা গ্রামের বাসিন্দা। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত মোবারক হোসেন একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ফাইজুল ইসলাম, মারজুল ইসলাম, হাদিস মিয়া, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মানিক মিয়া, মাহতাব উদ্দিন, আবুল কাশেম ও আলতু মিয়া।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, পূর্বের একটি মামলার বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চারিতলা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে কাঞ্চন মিয়াকে পিটিয়ে ও বল্লমবিদ্ধ করে আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা শেষে আবারো একই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৯ মার্চ কাঞ্চন মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারকাজ চলার সময় ৪ আসামির মৃত্যু হলে তাদের অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
ঢাকা/রুমন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক শ রগঞ জ ল ইসল ম বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।
আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে