বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে অনুদান হিসেবে বন্যায় জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ১৫ লাখ ডলারের উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়েছে চীন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব জরুরি উদ্ধার সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করেন।

আরো পড়ুন:

নীলফামারীতে চীনের হাসপাতাল নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা

এশিয়ার সবচেয়ে বড় আউটলেট খুলছে শাংহাইতে

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক।

উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ। প্রতিটি দুর্যোগে সরকার মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। চীন সরকারের এ সহায়তা আমাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে। সরকারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সবসময় দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।”

ঠিক এক বছর আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে চীন সরকার উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “এক বছর আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে চীন রেড ক্রিসেন্টকে কিছু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সামগ্রী দান করবে, যাতে বন্যাকবলিত মানুষদের সহায়তা করা যায়। আজ আমি বলতে পারি, আমরা আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি।”

তিনি বলেন, “চীন সরকার বাংলাদেশের জন্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলারের এই জরুরি সরঞ্জাম সহায়তা পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও ব্যক্তির নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা অবশেষে সেই সহায়তা বাংলাদেশে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এ কাজে যুক্ত সবাই প্রশংসার দাবিদার।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন সক্ষমতা বাস্তবভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বন্যার হুমকি থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে আজকের সহায়তা ভূমিকা রাখবে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা.

মো. আজিজুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “চীন সরকারের এ অনুদান আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অত্যাধুনিক এই উদ্ধার সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা আরো দক্ষতার সঙ্গে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারবে।”

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তাসনিম আজিম বলেন, “বাংলাদেশের দুর্যোগে চীনের এই সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।”

উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আটটি কন্টেইনারে ১৫ ধরনের অত্যাধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫০০টি লাইফ ভেস্ট, ৫০০টি রেসকিউ হেলমেট, ৫০০ জোড়া রেসকিউ বুট, ৫০০ জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস, ৩০০টি সামুদ্রিক ফার্স্ট এইড কিট, ২৫০টি রেসকিউ রোপ, ২৫০ সেট রেসকিউ রোপ ব্যাগ, ১০০টি ইঞ্জিনসহ রাবার বোট, ১০০ সেট লাইফ র‌্যাফট, ৫০টি ফ্লোট প্লেট, ৫০টি রেসকিউ প্যানেল, ২৫টি সফট স্ট্রেচার, ১৫টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন ইক্যুপমেন্ট, ১০ সেট ডিজেল জেনারেটর এবং ৬ সেট সমুদ্রের পানি লবণমুক্তকরণ যন্ত্র।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সোসাইটির সম্মানিত বোর্ড সদস্যবৃন্দ, মহাসচিব, উপ-মহাসচিব, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশনসহ সোসাইটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটি এবং চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠান শেষে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তারা প্রদত্ত সরঞ্জামগুলোর একটি অংশ প্রদর্শন করেন।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ র ড ক র স ন ট স স ইট চ ন সরক র স স ইট র অন ষ ঠ ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • জুলাই সনদ নিয়ে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • জামায়া‌তের তিন‌ দি‌নের কর্মসূচি ঘোষণা