বিএন‌পির চেয়ারপারস‌নের উপ‌দেষ্টা বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা অ‌্যাড‌ভো‌কেট ফজলুর রহমান‌কে হত্যার হুম‌কি এবং তার বাসার সামনে ‘মব তাণ্ডব’-এর প্রতিবাদে উত্তাল তার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএন‌পি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামতলি মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন।

মিছিলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন— “মুক্তিযুদ্ধের ফজলু ভাই, আমরা তোমায় ভুলিনি”, “রণাঙ্গনের ফজলু ভাই, আমরা তোমায় ভুলিনি”, “মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান”, “ফজলু ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে”।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফজলুর রহমান সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির দুর্দিনের কাণ্ডারী। ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির পক্ষ থেকে একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য আসতে থাকে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ফজলুর রহমান এসব দেখে চুপ থাকতে পারেননি। এরপর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এবং এনসিপি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং অপপ্রচার চালায়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ফজলুর রহমানকে এখন হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

তারা বলেন, সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে প্রয়োজন হলে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা অভিমুখে মার্চ করা হবে। হাওরের হৃদস্পন্দন ফজলুর রহমানকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ক্ষমতা কারো নেই। তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর যেকোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে জনগণ।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শাহীন, যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনার, সাধারণ সম্পাদক আলী রহমান খান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাভেদ, আহ্বায়ক তিতুমির হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব আল মাহমুদ মোস্তাকসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতারা।

ঢাকা/রুমন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফজল র রহম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।

লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা