চবির প্রক্টর-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের আল্টিমেটাম
Published: 26th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ আল্টিমেটাম দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ডিপ্লোমাদের অযৌক্তিক কোটার প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
এর আগে, প্রক্টর-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলা ঝুপড়ি হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশে করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রদল জানিয়েছে, আগামীকাল ১টার মধ্যে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নতুবা ওই সময়ের মধ্যে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। যদি তারা পদত্যাগ না করেন, তাহলে কঠিন আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বসা চবি প্রশাসন বৈষম্য করছে এবং একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। সামনে চাকসু নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তারা যদি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে, তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমরা মনে করছি না।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্রক্টর একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাচ্ছেন, যা সবাই দেখছে। রেজিস্ট্রারও একই ভূমিকায় আছেন। আমরা সোমবার (২৫ আগস্ট) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম, যেন তাদের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। কারণ, তাদের পদে রেখে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি আরো বলেন, ”কিন্তু এরপরই দেখি রেজিস্ট্রার বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাদের মুর্খ, অছাত্র, অশিক্ষিত বলে স্টেটমেন্ট দিয়েছে। আমাদের এমন নিকৃষ্ট শব্দচয়ন করায় তার দায়িত্ব থাকার অধিকার নেই। প্রক্টরকেও দেখেছি, আমাদের ইঙ্গিত করে ফেসবুকে অছাত্র বলে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন। তাই আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নতুবা এই সময়ের মধ্যে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।”
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “রেজিস্ট্রার কীভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অছাত্র, মুর্খ বলে কটাক্ষ করতে পারে? প্রক্টরের নারী বিদ্বেষের বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এছাড়া তিনি একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। তাই এ অবস্থায় একটি সুষ্ঠু চাকসু নির্বাচন হতে পারে না। এজন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ কাল ১টার মধ্যে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।”
তিনি বলেন, “ক্ষমা না চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের স্বসম্মানে পদত্যাগ করতে হবে। যদি পদত্যাগ না করেন, তবে আমরা দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র র পদত য গ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে প্রশাসন: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের বিধিমালা প্রণয়নে প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে: জবি উপাচার্য
লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত জকসু নীতিমালা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে তাড়াহুড়ো করেছে, যা হতাশাজনক।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা চাই এটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হোক—যাতে জকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের মুক্ত মঞ্চে পরিণত হয়, কোনো দলীয় প্রভাবের শিকার না হয়।”
তিনি আরো বলেন, “জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্বের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত করা, সদস্যপদের যোগ্যতা সহজ করা এবং সংবিধানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদককেও যুক্ত করতে হবে।”
সংগঠনটি জকসুর কাঠামোতে নতুন ১০টি পদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত পদগুলো হলো— বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীবিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক (শুধু নারীদের জন্য), দক্ষতা উন্নয়ন (ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট) সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, মিডিয়া ও যোগাযোগ সম্পাদক, দফতর সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, পরিবেশ সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পাদক এবং কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক।
এর আগে, ছাত্রদলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং একটি সদস্য পদ জকসু বিধিমালায় সংযোজন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই যোগ্য। তবে এখনো প্যানেল নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। নির্বাচনে অধিক গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু তা রাখা হয়নি। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ থাকলেও জকসুতে তা নেই। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্টদের বিচার না হওয়াটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।”
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, আহ্বায়ক সদস্যসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী