ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ শোভনকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার নির্দেশে পীরগাছা থানার এসআই শফিক ঢাবি ছাত্রদলের শেখ শোভন ও ৩ নম্বর ইটাকুমারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বেরোবির প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট আমতলী পীরগাছার আমতলী বাজার এলাকায় একটি শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটার বিরুদ্ধে শামীম হোসেন প্রতিবাদমূলক ভিডিও করেন। সেখানে মাহবুবুর রহমান মাহবুব অন্নদানগর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়কের নেতৃত্বে শামীমের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

আহত অবস্থায় তিনি মামলা বা জিডি করতে গেলে পীরগাছা থানা তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে, হামলাকারীদের বাঁচাতে উল্টো শামীমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।

এরই জেরে সোমবার কালিগঞ্জ স্কুল মাঠ থেকে শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ঢাবি শিক্ষার্থী শেখ শোভন একজন আইনজীবী হিসেবে ওয়ারেন্ট ও মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসআই শফিক তার সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন। পরে তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা , নুরুজ্জামান মেম্বার ও মাহবুবুর রহমান সরাসরি জড়িত। অভিযুক্ত রাঙ্গা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলনের ভাতিজা। তারা পীরগাছা উপজেলায় তাদের পরিবার মাফিয়া রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি- প্রতি আমলেই তারা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। রাঙ্গার প্রত্যক্ষ মদদে পীরগাছা থানায় চলছে মামলা বাণিজ্য।”

স্থানীয় বাসিন্দা কালীগঞ্জ স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “পীরগাছায় আওয়ামী লীগের সময় পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতো মিলন এখন নিয়ন্ত্রণ করে রাঙ্গা। তাদের সবাই ভয় পায়, তারা মাফিয়া সন্ত্রাসী।”

স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতা অভিযোগ করে বলেন, “যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা দুজনই বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত। আর যাদের মাধ্যমে এই গ্রেপ্তার করানো হয়েছে, তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিত। আমাদের এলাকায় পারিবারিক রাজনীতি চলে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে পীরগাছা থানার এসআই শফিকুর রহমান বলেন, “যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় শোভন বাধা দিয়েছিল। তখন তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি দাবি করেন, “শোভনের সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এজন্য তাকে একটু জোরজবরদস্তি করা হয়।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ছ ত রদল গ র প ত র কর ছ ত রদল র প রগ ছ উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩