‎ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুর রহমান বলেছেন, “একটি কারসাজি চক্র হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লোগো ও ঠিকানা ব্যবহার করছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এসব প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

‎মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ওয়ালটন হাই-টেকের পর্ষদ সভা ৩ সেপ্টেম্বর

আধুনিক মেশিন কিনবে সোনালী পেপার

‎এ সময় ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালামসহ ডিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‎আসাদুর রহমান বলেন, “চক্রটি দ্রুত মুনাফা করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। প্রতারণা রোধে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় গত ৩ আগস্ট অভিযোগ করা হয়। এছাড়া এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য সব ট্রেকহোল্ডারদের এবং ডিএসই ভবনে সব অফিসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতারক চক্রের একটি দলকে নারায়ণগঞ্জে শনাক্ত করা হয়েছে বলে ডিএসইকে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।”

এদিকে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

‎ডিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “শেয়ারবাজারে বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে। এর মধ্যে প্রতারক চক্রের কারণে শেয়ারবাজারের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।”

‎তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারে স্টক এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মোবাইল অ্যাপস ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করার সুযোগ নেই। তাই কারো প্রলোভনে পড়ে অন্য কোনভাবে লেনদেন না করার জন্য সাবইকে অনুরোধ করছি।”

আসাদুর রহমান বলেন, “প্রতারক চক্রকে ধরতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর রয়েছে। তাই এই চক্রকে বলব, যারা সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নিয়েছেন, তারা ফেরত দিয়ে দেবেন। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদেরকে এ ধরনের লেনদেন করার আগে ডিএসই, সিএসই ও বিএসইসির ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার অনুরোধ করেন।”

‎ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রব জ র ব এসইস ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে  ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিভিও ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা