এসআইয়ের ‘থাপ্পড়ে’ যুবদল নেতা হাসপাতালে
Published: 27th, August 2025 GMT
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেলের মারা ‘থাপ্পড়ে’ যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই নেতাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গোপালপুর থানার একটি কক্ষে ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত এসআই রাসেল জানান, ওসির নির্দেশে আমিনুলকে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আরো পড়ুন:
কারাবন্দি নারী জন্ম দিলেন ফুটফুটে কন্যা সন্তান
মানিকগঞ্জে ৮ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪৯ জন
আহত আমিনুল ইসলাম উপজেলার আলমনগর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম উত্তর চরপাড়ার মৃত মান্নানের দুই ছেলে মিঠু আকন্দ ও মিজু আকন্দের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গত সোমবার সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে মিঠু আকন্দ উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পরদিন মঙ্গলবার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন। ক্ষুব্দ স্থানীয় লোকজন এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ফোন করে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামকে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত ভিপির উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) রুমে বৈঠক হয়। সেখানে এসআই রাসেল ও আমিনুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমিনুল ও এসআই রাসেলকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আহত আমিনুল ইসলাম বলেন, “রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর আরেকটি রুমে নিয়ে এসআই রাসেল আমাকে থাপ্পড় মারেন। এরপর আর কানে শুনতে পাচ্ছি না। কানে তীব্র ব্যথা অনুভব করছি। হাসপাতালে নেতাকর্মীরা আমাকে দেখতে আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
গোপালপুর থানার এসআই রাসেল বলেন, “জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমিনুল অভিযোগকারীদের পুলিশের সামনে মারধর করেন। পরে তাকে থানায় নেওয়া হয়। ওসির নির্দেশে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। সেখানে তাকে মারধর করা হয়নি।”
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত জানান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওপেল চৌধুরীসহ আলমনগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য থানার ওসির রুমে বৈঠক করছিলেন। এসময় এসআই রাসেলের সঙ্গে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন বলেন, “যুবদল নেতা আমিনুল পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়েছিলেন। তাকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। পরে দায়িত্বর এসআইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নেতাদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ব এনপ অভ য গ আম ন ল ইসল ম এসআই র স ল ব এনপ র র জন য উপজ ল য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক বিভাজকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, কিশোর নিহত
রাজবাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দিয়েছে একটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটির আরোহী কিশোর নিহত ও চালক আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে রাজবাড়ী ফয়ার সার্ভিস অফিসের সামনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
মারা যাওয়া কিশোরের নাম রিয়াদ আলী শেখ (১৪)। সে সদর উপজেলার দদশি ইউনিয়নের বড়দোয়াল গ্রামের রহমত আলী শেখের ছেলে। আহত রওনক সরকারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সব-স্টেশন কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “দ্রুত গতির মোটরসাইকেলটি আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দেয়। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
স্থানীয়দের বরাতে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, রিয়াদ ও রওনক সকালে মোটরসাইকেল যোগে রাজবাড়ী বাজারে যাচ্ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বিভাজকে ধাক্কা দেয়। ফলে তারা আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/রবিউল/মাসুদ