চাঁদাবাজির দায়মুক্তি পেতে দলীয় প্যাড ব্যবহার, ক্ষুব্ধ জেলা বিএনপি
Published: 27th, August 2025 GMT
নোয়াখালীতে ঘাট দখল করে চাঁদাবাজির দায় থেকে মুক্তি পেতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলা বিএনপির প্যাডে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরুল আলম সিকদার নামে এক সাবেক নেতার বিরুদ্ধে।
নিজের সই করা দুইটি বিবৃতি মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
আরো পড়ুন:
এসআইয়ের ‘থাপ্পড়ে’ যুবদল নেতা হাসপাতালে
ফেনীতে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের হট্টগোল
নুরুল আলমের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নোয়াখালী জেলা পর্যায়ের নেতারা। তারা জানান, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়া কেউ জেলা বিএনপির প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না।
অভিযুক্ত নুরুল আলম কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক।
প্রকাশিত বিবৃতিতে দেখা যায়, নোয়াখালী জেলা বিএনপির প্যাডে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজে স্বাক্ষর করে চাঁদাবাজির সংবাদের প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন নুরুল আলম সিকদার। তিনি নিজেকে বিএনপির তৃণমূলের নেতা হিসেবে নির্দোষ দাবি করেন।
অভিযুক্ত নুরুল আলম সিকদার বলেন, “আমি দলীয় প্যাড ব্যবহার করেছি, এটা সত্য। এটা আমি পারি কি পারি না সেটা দল দেখবে। এ নিয়ে কিছু হলে আমার দলের নেতারা আমাকে বলবে। এটা তো সাংবাদিকদের বিষয় নয়।”
জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বলেন, “জেলা বিএনপি এ ধরণের কোনো বিবৃতি দেয়নি। এই প্যাড জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতাদের অবহিত করা হবে।”
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, “দলীয় প্যাড এভাবে ব্যবহার করার নিয়ম নাই। বিষয়টি এখনো আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আরো বলেন, “আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ছাড়া কেউ জেলা বিএনপির প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। ওই নেতা চরম অন্যায় করেছেন। বিষয়টি আমরা দলীয় ফোরামে দেখব।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ প য ড ব যবহ র ব এনপ র প য ড ব যবহ র কর ন র ল আলম ব যবহ র ক
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট