নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের শোলপুরসহ আশপাশের বিল এলাকায় হাঁস পালন করে ভাগ্যবদল করছেন শিক্ষার্থী, বেকার যুবকসহ অনেকে। বর্ষায় পানিভরা বিল-জলাশয়কে কাজে লাগিয়ে অস্থায়ী খামার গড়ে তুলেছেন তারা। হাঁস ও ডিম বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করছেন হাজার হাজার টাকা। সম্প্রতি শোলপুর গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

হাঁসের খামারি হাদিউজ্জামান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, ২০০ হাঁস নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। বর্তমানে আমার খামারে ৫০০টি হাঁস আছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০টি হাঁসে ডিম পাড়ে। এতে মাসে আয় হয় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ডিম পাড়া শেষে হাঁস বিক্রি করলে বাড়তি আয় হবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। 

দশম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান শেখ লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেই গড়ে তুলেছেন একটি হাঁসের খামার। তার খামারে রয়েছে ২৫০টি হাঁস। প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে আয় করেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা। 

শুধু শোলপুর বিল নয়, বড়েন্দার বিল, ইছামতী বিল, দুধপাতাল বিলসহ ১২টি বিলে হাঁস পালন করছেন অন্তত ১৫০ জন। বর্ষাকালে ধানক্ষেতে পানি জমে থাকায় হাঁস পালন সহজ ও লাভজনক হয়ে উঠেছে এ এলাকায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০০টি হাঁসের খামার আছে। এসব খামারে ক্যামবেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ৩ লাখ ৫১ হাজারের মতো হাঁস পালন করা হচ্ছে। এ জেলায় বছরে উৎপাদিত হয় সাড়ে ৩ কোটি ডিম।

নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.

সিদ্দীকুর রহমান জানিয়েছেন, বিল অঞ্চলে হাঁস পালনে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। হাঁসের খাবারের জন্য বাড়তি খরচ তেমন লাগছে না। 

প্রাণিসম্পদ বিভাগ হাঁস খামারিদের প্রশিক্ষণ, ভ্যাকসিন ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ