মানিকগঞ্জে আইসক্রিমে কৃত্রিম রঙ, কারখানায় জরিমানা
Published: 27th, August 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় বাচ্চাদের হাতে রঙিন আইসক্রিম প্রায়ই দেখা যায়। বাবা-মায়েরা সন্তানদের আবদার রাখতে স্বপ্ল দামের এই আইসক্রিম কিনে দেন। কিন্তু এই আইসক্রিমে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। কিডনির ক্ষতি কিংবা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তার নেতৃত্বে কর্মকর্তারা সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম বাজার এলাকায় সৌরভ আইসক্রিম কারখানায় অভিযান চালায়। সেখানে অবৈধভাবে আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছিল। এই আইসক্রিমে নিষিদ্ধ কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এই রঙ শিশুর জন্য এই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরো পড়ুন:
গুদামে ভেজাল পণ্য মজুত, দুই লাখ টাকা জরিমানা
শরীয়তপুরে ৩ হাজার কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ
অভিযানে ওই কারখানাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে জেলা ক্যাবের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও পুলিশের সদস্যরা অংশ নেয়।
সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা অভিযানে জরিমানার তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘‘জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে শুধু সরকারি অভিযানে সমস্যার সমাধান হবে না। অভিভাবকরা সচেতন হলে ভেজাল পণ্যের বাজার কমে আসবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে হবে।’’
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা.
অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ইমতিয়াজ মাহবুব নামে এক অভিভাবক বলেন, “বাজার থেকে বাচ্চাদের আইসক্রিম কিনে দেই। এতে যদি ক্ষতিকর রঙ মেশানো থাকে, তবে তো আমরা নিজের হাতেই সন্তানদের অসুস্থ করছি।”
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ক্যাব) মানিকগঞ্জের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘দরগ্রামের আইসক্রিম ফ্যাক্টরি হয়ত ভেজালের ক্ষুদ্র উদাহরণ। তবে অভিযানে অভিভাবকরা উপলব্ধি করছেন, শিশুর হাসি রক্ষা করতে হলে ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।’’
ঢাকা/চন্দন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন ম ন কগঞ জ আইসক র ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে পাঠানো হলো আইসক্রিম
স্পেসএক্সের ফ্যালকন–৯ রকেটে করে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা হয়েছে নর্থরপ গ্রুম্যান কোম্পানির কার্গো মহাকাশযান ‘সিগনাস এক্সএল’। ১৪ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিশনে মহাকাশযানে ৫ টনের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যন্ত্রাংশ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী। মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ খাবার হিসেবে ক্ল্যামস, ওয়েস্টার্স, স্মোকড স্যামন, রোস্টেড টার্কি ও আইসক্রিম পাঠানো হয়েছে।
এই মিশন সিগনাস এক্সএলের প্রথম যাত্রা। পুরোনো সংস্করণের সিগনাসের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা ও ২ হাজার ৬০০ পাউন্ড বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। ১৭ সেপ্টেম্বর সিগনাস এক্সএল মহাকাশ স্টেশনের রোবটিক বাহুর কাছে পৌঁছাবে। কার্গো মহাকাশযানটিতে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রয়েছে। এর মধ্যে স্টেশনের ইউরিন প্রসেসর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের প্রতিস্থাপন যন্ত্রাংশও অন্তর্ভুক্ত।
সিগনাস এক্সএল আগের রকেটের চেয়ে প্রায় ১.৬ মিটার লম্বা। নাসা ও নর্থরপ গ্রুম্যান এই অভিযানকে আইএসএসের সরবরাহ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মহাকাশচারীদের দীর্ঘমেয়াদি মিশনে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ গবেষণার উপকরণ পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে কাজের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া