ডাচরা সিলেটে, যোগ দিয়েছেন সোহান-সাইফ
Published: 27th, August 2025 GMT
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশে এসেছে নেদারল্যান্ডস জাতীয় ক্রিকেট দল। সকালে ঢাকায় পা রেখে ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম শেষে আবার সিলেটে উড়াল দেন তারা। দুপুরেই পৌঁছে দুটি পাতার একটি কুঁড়ির দেশ সিলেটে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটি ম্যাচ হবে সিলেটে। আজ পুরোদিন তারা বিশ্রামে ছিলেন। আগামীকাল দুপুরে তারা নামবেন অনুশীলনে।
এদিকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসান। সোহান ও সাইফ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে টপ অ্যান্ড টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন তারা। দলের ব্যর্থতার সঙ্গী হয়েছিলেন তারাও। খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি কেউ। তবুও তাদেরকে দলে ফেরত আনিয়েছে। গতকাল ঢাকা ফিরে আজ দলের সঙ্গে যোগ দেন দুজন। শুধু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নয়, এশিয়া কাপও খেলবেন তারা।
আরো পড়ুন:
‘টি-টোয়েন্টির জন্য উপযুক্ত নয় বাবর-রিজওয়ান’
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অবিশ্বাস্য দৃশ্য: এক বলেই ২২ রান!
নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দল এর আগে দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেললেও ২০১৪ সালে সাত ম্যাচ খেললেও বাংলাদেশকে পায়নি তারা। দুই দল এখন পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। চারটিতেই বাংলাদেশের জয়। ২০১২ সালে ডাচরা নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দল সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। যে ম্যাচে বাংলাদেশ করুণ পরাজয়কে সঙ্গী করেছিল।
হুট করেই এই সিরিজ আয়োজন করছে বিসিবি। ভারতের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় ভারত আগামী বছর পর্যন্ত সফর পিছিয়েছে। এশিয়া কাপের আগে তাই স্লট ফাঁকা হয়ে যায়। বিসিবি নেদারল্যান্ডসকে বাংলাদেশে খেলার আমন্ত্রণ জানালে তারাও সুযোগটি লুফে নেয়। ডাচদের জন্য এবারের সফর নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে নিশ্চিতভাবেই।
৩০ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। পরের দুটি ম্যাচ হবে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। সিলেটে প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করবেন শারা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল–শারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন সফর করবেন। গতকাল শনিবার দামেস্কে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত টম ব্যারাক এ ঘোষণা দেন। এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ১০ নভেম্বরের দিকে এ সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
গতকাল বাহরাইনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতিবিষয়ক সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এর ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টম ব্যারাক। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, শারার এ সফরে সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসলামিক স্টেটবিরোধী জোটে যোগ দেবে।
আরও পড়ুনযে মার্কিন জেনারেল একদিন গ্রেপ্তার করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে বসে সাক্ষাৎকার দিলেন আল-শারা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫এ বিষয়ে অবগত এক সিরীয় সূত্র জানায়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শারা ওয়াশিংটন সফরে যেতে পারেন।
কোন কোন বিদেশি নেতা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন, তার একটি ঐতিহাসিক তালিকা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। সে তালিকায় দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন সফর করেননি। গত সেপ্টেম্বরে শারা নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে শারার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরা একাধিক বিদেশ সফর করেছেন। আসাদ আমলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সিরিয়ার সঙ্গে বিশ্বশক্তিগুলোর সম্পর্ক পুনর্গঠন করাই এসব সফরের লক্ষ্য।
গত বছরের ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর শারার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরা একাধিক বিদেশ সফর করেছেন। আসাদ আমলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সিরিয়ার সঙ্গে বিশ্বশক্তিগুলোর সম্পর্ক পুনর্গঠন করাই এসব সফরের লক্ষ্য।ব্যারাক বলেন, ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হলো ২০১৪ সাল থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাতে সিরিয়াকে যুক্ত করা। আইএস তাদের উত্থানের সময় ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল দখল করে রেখেছিল।
ব্যারাক বলেন, ‘আমরা সবাইকে এ জোটের অংশীদার করার চেষ্টা করছি, যা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শারা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন আসাদবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। আল–কায়েদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ওসামা বিন লাদেন।
আরও পড়ুনসিরিয়ার নেতা শারাকে গ্রেপ্তারে ১ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র২১ ডিসেম্বর ২০২৪যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা ২০১৯ সালে সিরিয়ায় আইএসের সবশেষ শক্ত ঘাঁটি দখলমুক্ত করে। তবে বিভিন্ন সূত্র গত জুনে রয়টার্সকে বলেছে, আইএস আসাদ সরকারের পতনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়া ও প্রতিবেশী দেশ ইরাকে নতুন করে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।