‘ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে’
Published: 27th, August 2025 GMT
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ কার্যকর করার পর তিনি এ মন্তব্য করলেন।
বেসেন্ট জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে এই সম্পর্ককেও একটি ‘জটিল সম্পর্ক’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি জটিল সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সেই স্তরে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটা কেবল রাশিয়ান তেল নিয়ে নয়। ভারতীয়রা স্বাধীনতা দিবসের পরপরই শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুরু করতে এসেছিল এবং আমাদের তখনো কোনো চুক্তি হয়নি। আমি ভেবেছিলাম মে বা জুন মাসে আমাদের একটি চুক্তি হবে। আমি ভেবেছিলাম ভারত আগের চুক্তিগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে এবং তারা আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের সাথে একরকম যোগাযোগ করেছে এবং তারপরে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার দিকটিও রয়েছে যা তারা লাভজনকভাবে ব্যবহার করছে।”
তিনি বলেন, “এখানে অনেক স্তর চলছে। আমি মনে করি ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। আমি মনে করি দিনশেষে আমরা একত্রিত হব। আমার মনে হয় ভারতীয়দের বেশিরভাগই দক্ষতাসম্পন্ন হয়েছে। আমি শুল্ক আলোচনার সময় এটি বলেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাটতির দেশ। যখন বাণিজ্য সম্পর্কে কোনো বিভেদ থাকে, তখন ঘাটতির দেশটি একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। উদ্বৃত্ত দেশটির চিন্তা করা উচিত। তাই, ভারতীয়রা আমাদের কাছে বিক্রি করছে। তাদের খুব বেশি শুল্ক রয়েছে এবং তাদের সাথে আমাদেরও অনেক বড় ঘাটতি রয়েছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।