রাজশাহীতে নিজের পিস্তলের গুলিতে আহত এসআই
Published: 28th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে পিস্তলের ফায়ারিং পিন মেরামত করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)।
বুধবার রাত ১১টা ৮ মিনিটে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কাটাখালী থানায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ওয়ারেস আলী (৫০) নামের ওই এসআইকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন:
বিকেল থেকেই ব্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন যুবক
খুলনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আশ্রমের ধর্ম গুরু গ্রেপ্তার
পুলিশ জানিয়েছে, ওয়ারেস আলী ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পুলিশে চাকরি করছেন। কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগদান করা ওয়ারেস পদোন্নতি পেয়ে প্রথমে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং পরে এসআই হন। তিনি অস্ত্র চালনায় অভিজ্ঞ। তবে দুর্ঘটনাবশত গুলি বেরিয়ে গেছে। গুলিটি তার পায়ে হাঁটুর ওপরে লাগে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, ‘‘ওয়ারেস আলীর নামে ইস্যু করা পিস্তলটির ফায়ারিং পিনে সমস্যা হয়েছিল। তিনি সেটি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন। দুর্ঘটনাবশত ট্রিগারে চাপ লেগে গুলিটি বেরিয়ে যায়। গুলিটি হাঁটুর ওপরে লেগে পায়ের একপাশের মাংস দিয়ে বের হয়ে গেছে। তাই তিনি ঝুঁকিমুক্ত, না হলে বড় ক্ষতি হতো।’’ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘‘ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।’’
ঢাকা/শিরিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩
যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আরো পড়ুন:
বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬
বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র্যাবে কর্মরত ছিলেন।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ