চাকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ১২ অক্টোবর
Published: 28th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১২ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চাকসুর আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা
রাবি উপাচার্যকে পাকিস্তানে যেতে বললেন ছাত্রদল সভাপতি
এ সময় চাকসু নির্বাচন কমিশনারের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকীসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১ সেপ্টেম্বর। ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মনোনয়নপত্র বিতরণ করা শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বিতরণ শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।
এরপর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা। প্রার্থীদের বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। একই দিনে হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি সুন্দর একটি নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারব।”
তিনি বলেন, “আমরা বহু চেষ্টা করেও সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এর আগে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে। এজন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। আগামী ১২ অক্টোবর আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ব ক ল স ড় প রক শ তফস ল
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।