ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
Published: 28th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেয়েছেন বেরোবিসাসের ৫ সদস্য
খুবির ২২ শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড
অনুষদের চারটি বিভাগের (ভূগোল ও পরিবেশ, ভূতত্ত্ব, সমুদ্রবিজ্ঞান এবং ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ) মোট ৫৭ জন শিক্ষার্থী এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য আটজন শিক্ষককে চার ক্যাটাগরিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।
পরে অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অনুষদের গবেষণা কার্যক্রমের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আবির মাহমুদ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের জান্নাতুল নাঈম রাসা, আফরিন সারাবনি, মো. তানহীর হোসাইন, ২০১৯-২০২০ সেশনের জায়ান সাওসান জান্নাত, আদিলা আফজাল, সাদমান রাফিদ, ফারিহা তাবাসসুম ইমা, মায়িশা মালিহা।
ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আনিকা নাওয়ার মায়েশা, সুবাহাশ সুবাহ চৌধুরী, অনুপম হাসিব রোজ, খন্দকার মাসুম বিল্লাহ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের উম্মে হাবিবাহ মারজান, জহুর আহমেদ, শিহাব হোসাইন, মো. সিয়াম হোসাইন, মো. মাহফুজ আলম, নুসরাত নাহিয়ান ফাতেমা, রাকিবুল হাসান বাঁধন, ২০১৯-২০২০ সেশনের উৎসব বসাক, ওমর ফারুক, তাসফিয়া বিনতে মাহমুদ, ফ্লোরেন্স ইরা গোমেজ, তাসমিয়া আক্তার তমা, মো. রাকিবুর রহমান।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের সাদিয়া হক সাদী, রিফাত আরা নিরা, আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হাসিবুল হাসান, স্বচ্ছ রহমান, ২০১৮-২০১৯ সেশনের মো. তাহিদুল ইসলাম, সাদিয়া নাসরিন সারা, ইফফাত সানজিদা, ইশতিয়া শাহানামা, মাহিয়া খন্দকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এশহিম আহমেদ নোরা, ২০১৯-২০২০ সেশনের সাজিদুর রহমান সাজিদ, মো. ফয়সাল আহমেদ, নাইমা তাসনিম সরকার, মুন্নী আক্তার।
ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আজকা তাওহীদা দৈবি, আয়েশা আক্তার নিলা, মাহির অনন্য মাহমুদ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের মো. ওয়ালিদ হোসেন তামিম, মাহবুবা হাসনাত ছোয়া, মো. আলী আহমেদ, খাদিজা আফরিন নিহা, ২০১৯-২০২০ সেশনের মাসুদা আফরিন, ইসমাত তাহসিন মাহমুদ, নূরমহল নিলা, সায়েমা নূরজাহান, ইফতেখার আহমেদ, নাঈম সামাদ, উম্মে সাদিয়া শিমলা, নাজিফা তাসনিম।
গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বদরুদ্দোজা মিয়া, ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসাইন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আছিব আহমেদ, ভূতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মমিন ইসলাম ও ভূতত্ত্ব বিভাগের ফরহাদ হোসাইন।
এছাড়া কিউ-ওয়ান জার্নালে প্রকাশনার জন্য ২২ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তাকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ গ ল ও পর ব শ ব ভ গ র ভ তত ত ব ব ভ গ র অন ষ ঠ ন ল ইসল ম হ স ইন রহম ন আহম দ উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল