ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেয়েছেন বেরোবিসাসের ৫ সদস্য

খুবির ২২ শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড

অনুষদের চারটি বিভাগের (ভূগোল ও পরিবেশ, ভূতত্ত্ব, সমুদ্রবিজ্ঞান এবং ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ) মোট ৫৭ জন শিক্ষার্থী এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য আটজন শিক্ষককে চার ক্যাটাগরিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম।

পরে অনুষদের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অনুষদের গবেষণা কার্যক্রমের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আবির মাহমুদ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের জান্নাতুল নাঈম রাসা, আফরিন সারাবনি, মো. তানহীর হোসাইন, ২০১৯-২০২০ সেশনের জায়ান সাওসান জান্নাত, আদিলা আফজাল, সাদমান রাফিদ, ফারিহা তাবাসসুম ইমা, মায়িশা মালিহা।

ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আনিকা নাওয়ার মায়েশা, সুবাহাশ সুবাহ চৌধুরী, অনুপম হাসিব রোজ, খন্দকার মাসুম বিল্লাহ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের উম্মে হাবিবাহ মারজান, জহুর আহমেদ, শিহাব হোসাইন, মো. সিয়াম হোসাইন, মো. মাহফুজ আলম, নুসরাত নাহিয়ান ফাতেমা, রাকিবুল হাসান বাঁধন, ২০১৯-২০২০ সেশনের উৎসব বসাক, ওমর ফারুক, তাসফিয়া বিনতে মাহমুদ, ফ্লোরেন্স ইরা গোমেজ, তাসমিয়া আক্তার তমা, মো. রাকিবুর রহমান।

সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের সাদিয়া হক সাদী, রিফাত আরা নিরা, আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হাসিবুল হাসান, স্বচ্ছ রহমান, ২০১৮-২০১৯ সেশনের মো. তাহিদুল ইসলাম, সাদিয়া নাসরিন সারা, ইফফাত সানজিদা, ইশতিয়া শাহানামা, মাহিয়া খন্দকার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এশহিম আহমেদ নোরা, ২০১৯-২০২০ সেশনের সাজিদুর রহমান সাজিদ, মো. ফয়সাল আহমেদ, নাইমা তাসনিম সরকার, মুন্নী আক্তার।

ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের ২০১৭-২০১৮ সেশনের আজকা তাওহীদা দৈবি, আয়েশা আক্তার নিলা, মাহির অনন্য মাহমুদ, ২০১৮-২০১৯ সেশনের মো. ওয়ালিদ হোসেন তামিম, মাহবুবা হাসনাত ছোয়া, মো. আলী আহমেদ, খাদিজা আফরিন নিহা, ২০১৯-২০২০ সেশনের মাসুদা আফরিন, ইসমাত তাহসিন মাহমুদ, নূরমহল নিলা, সায়েমা নূরজাহান, ইফতেখার আহমেদ, নাঈম সামাদ, উম্মে সাদিয়া শিমলা, নাজিফা তাসনিম।

গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বদরুদ্দোজা মিয়া, ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসাইন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আছিব আহমেদ, ভূতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মমিন ইসলাম ও ভূতত্ত্ব বিভাগের ফরহাদ হোসাইন।  

এছাড়া কিউ-ওয়ান জার্নালে প্রকাশনার জন্য ২২ জন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তাকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ গ ল ও পর ব শ ব ভ গ র ভ তত ত ব ব ভ গ র অন ষ ঠ ন ল ইসল ম হ স ইন রহম ন আহম দ উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ

সম্পূরক বৃত্তি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন তাঁরা।

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়।

তিন দফা দাবির অন্যটি হলো ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি প্রদান ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু।

আজ বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাঁদের খোঁজখবর নিতে দেখা যায়।

অনশনে বসা পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল মুরাদ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফেরদৌস শেখ, ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শাহীন মিয়া এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অপু মুন্সী।

অনশনকারীদের মধ্যে ফয়সাল মুরাদ ও এ কে এম রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের পেটে ব্যথা, রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

অনশনকারী অপু মুন্সী বলেন, পারিবারিক কারণে তাঁকে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। তাই গতকাল রাতে তিনি অবস্থান করতে পারেননি।

আজ অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অনশনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করবেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কারণে শিক্ষার্থীদের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

অনশনে অংশ নেওয়া শাহীন মিয়া বলেন, প্রশাসন আগের মতোই বাহানা করে যাচ্ছে। হচ্ছে, হবে এ বক্তব্য থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। আর কোনো টালবাহানা তাঁরা শুনবেন না। তাঁদের দাবি অবশ্যই মানতে হবে। তা না হলে প্রশাসনকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

আরেক অনশনকারী ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চলছে, কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইতিমধ্যে তিনিসহ আরও একজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অনশনকারী এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অবস্থানসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি, কিন্তু তাতে প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অনশনে যেতে বাধ‍্য হয়েছি। এ ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এই নখদন্তহীন প্রশাসন হয়তো আমাদের দাবি মেনে নেবে, নয়তো তাদের নিজেদের রাস্তা মাপতে হবে।’

আরও পড়ুনসম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী১৯ ঘণ্টা আগে

যতক্ষণ তিন দফা দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে জানিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যতক্ষণ শরীরে শেষ রক্তবিন্দু আছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে অনেকেই এসে সংহতি প্রকাশ করছেন। সকাল থেকে এ সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে গতকাল রাতে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন আয়োজনের এবং জানুয়ারি মাস থেকে সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।

তবে সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়া ও প্রশাসন থেকে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে উপাচার্যকে জানিয়েছেন অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ
  • গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী