পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। শাশুড়ি ও সৎ ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে চাটমোহর উপজেলার আটলঙ্কা বউ বাজার এলাকা থেকে গৃহবধূ শাপলা খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাপলা খাতুন ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মনজিল হোসেনের চতুর্থ স্ত্রী। তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

আরো পড়ুন:

দুই দিনের ব্যবধানে চাচা-ভাতিজা খুন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

শ্যালকদের লাঠির আঘাতে ভগ্নিপতির মৃত্যু 

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার শাশুড়ি মনোয়ারা খাতুন এবং সৎ ছেলে শিপন হোসেন থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

ওসি মনজুরুল আলম বলেন, ‘‘পারিবারিক কলহের জের ধরে শাপলা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’’ 

মুলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে কুযাবাসী গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে শাপলাকে বিয়ে করেন মনজিল। তার আগে তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। শাপলা চতুর্থ স্ত্রী৷ মনজিল ১০ মাস আগে বাড়ি আসেন। স্বামী মনজিল সৌদি প্রবাসী হলেও শাপলাকে ঠিকমতো ভরণপোষণ দিতেন না। তাকে মেনে নিতে পারেননি প্রথম স্ত্রীর ছেলে শিপন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়৷ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে এলাকাবাসী শাপলার মরদেহ তার বাড়িতে দেখতে পায়। শিপন ও মনোয়ারা খাতুন পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে পুলিশে খবর দেয়। 

ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, শাপলার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

নিহতের মা নাজমা খাতুন বলেন, ‘‘মেয়েটা ৯ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। মেয়েটাকে ওরা এভাবে শেষ করে দিল। আমরা তাদের বিচার চাই।’’ 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত মনজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ