বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ২৪ জনের পরিবারকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের নতুন পাড়ায় এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে এই সহায়তা তুলে দেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ।

আরো পড়ুন:

লালমনিরহাটে ড্রাম ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে ট্রাকচাপায় অটোরিকশাচালক নিহত

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ও জেলায় সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৫ জনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩ লাখ টাকার চেক এবং নিহত ১৯ জনের প্রতি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকা করে মোট ৯৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ সর্বমোট ১ কোটি ৮ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

সভায় সড়ক পরিবহন খাতের নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিএমপি ট্রাফিক ডিভিশন (উত্তর)-এর উপ-পুলিশ কমিশনার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মো.

নেছার উদ্দিন আহমেদ, বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মাসুদ আলম, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মাসুম বিল্লাহ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোরশেদুল আলম কাদেরী এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ।
 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত সড়ক পর বহন ব আরট এ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ