নুর ভাইয়ের ওপর সেনাবাহিনীর হামলাকে স্বাভাবিকভাবে দেখি না: সারজিস
Published: 29th, August 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছেন, “ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ের মাধ্যমে হাসিনা পতন আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা নূর ভাইয়ের ওপর সেনাবাহিনীর এই বর্বর রক্তাক্ত হামলাকে আমি স্বাভাবিক হামলা হিসেবে দেখি না “
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘাতের মধ্যে নুরুল হক নুরকে বেধকড় পেটান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা নুরুকে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছেন। দুহাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে করতে পড়ে যান নুর; তারপরও তাকে লাঠিচার্জ করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাত ১০টা ২৩ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “আর্মি কখনো ওপরের নির্দেশ ছাড়া একটা পাও ফেলে না। সেনাবাহিনীর মধ্যকার কার নির্দেশে নূর ভাইকে রক্তাক্ত করা হলো, এ জবাব সেনাপ্রধান কে দিতে হবে।”
তিনি লেখেন, “সেনাবাহিনীর মধ্যকার কারা একটা পার্টির আহ্বায়ককে মেরে হলেও জাতীয় পার্টিকে রক্ষার মিশনে নেমেছে, সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।“
পুলিশের মধ্যকার যে আওয়ামী দালালরা এখনো রয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন সারজিস।
তিনি বলেন, “এই সেনাবাহিনী এবং পুলিশ অবশ্যই নুরুল হক নূরকে ভালো করে চিনে। তারপরও প্ল্যান করে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। যারা পিছন থেকে কালো হাতের খেলা খেলার চেষ্টা করছে তাদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।”
এর আগে ১০টা মিনিটে আরেকটি পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, “প্ল্যান-বি হলো জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে লীগকে ফেরানো। সেজন্য জাতীয় পার্টির বিষয়ে জিরো টলারেন্সে উত্তরপাড়া-দক্ষিণপাড়া মিলে-মিশে একাকার।”
তিনি লেখেন, “নুর ভাইদের ওপর বর্বরতম হামলার মূল কারণও এটা। অর্থাৎ জাতীয় পার্টির বিষয়ে স্ট্রং মেসেজ দেওয়া হলো সব দলকে! এমন ঘৃণ্যতর হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।”
আওয়ামী লীগ যেভাবে অপরাধী, তার দোসর, বি টিম এবং বৈধতা দানকারী জাতীয় পার্টিও একইভাবে অপরাধী বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি একই পথের পথিক। তাদের পরিণতিও একই হবে।”
ঢাকা/রায়হান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি
জনপ্রশাসনে এখন নিয়মিত উপসচিব পদ রয়েছে এক হাজারের মতো। কিন্তু এই পদে কর্মকর্তা রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন। পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা আগে থেকেই বেশি ছিল। তারপরও গত মাসে ২৬৮ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
পদোন্নতি দেওয়ার পর কর্মকর্তাদের দ্রুত পদায়ন করা যায় না। কারণ, পদায়নের মতো জায়গা কম, খালিও থাকে না। তখন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে আগের পদেই রেখে দেওয়া হয়, তাঁরা আগের কাজই করেন। শুধু বাড়ে বেতন ও ভাতা। পাশাপাশি উপসচিব পদে তিন বছর চাকরির পর গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদের ঋণসুবিধা পাওয়া যায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপনে উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ৫২ জন কর্মকর্তাকে আগের পদেই পদায়ন (ইনসিটু) করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ২৮ আগস্ট উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এ রকম ২৬৮ জন কর্মকর্তার বেশির ভাগের দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
পদের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা আগে থেকেই বেশি ছিল। তারপরও গত মাসে ২৬৮ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।বাংলাদেশ সচিবালয়