নুরের ওপর হামলা: টুঙ্গিপাড়ায় ১২ নেতাকর্মী নিয়ে গণঅধিকারের বিক্ষোভ
Published: 31st, August 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। এতে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে দলটির টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুন:
মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ: চবির সব পরীক্ষা স্থগিত
নুরের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
ভিডিওতে দেখা যায়, টুঙ্গিপাড়া গণঅধিকার পরিষদের চৌড়ঙ্গি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। সেটি টুঙ্গিপাড়া-পিরোজপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর বাস টার্মিনালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারা ৫ মিনিটের জন্য গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। নেতাকর্মীরা ‘ভিপি নূরের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ মিছিলে গণঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি শাহিদ আলম, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রইসুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরদার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেজা, প্রচার সম্পাদক
আলফাজ শেখ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাহমাতুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদ পাটগাতী ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি সোহেল, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ওবায়ের তারিফ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আজম খান ও উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আলফাজ ফকিরসহ ১২ জন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে মাত্র ১২জন নেতাকর্মীর অংশগ্রহণের বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহসিন শেখ বলেন, “টুঙ্গিপাড়ায় আমাদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা কমিটি, তিনটি ইউনিয়ন কমিটিসহ যুব অধিকার, ছাত্র অধিকার ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের
কমিটি রয়েছে। কিন্তু সাবেক সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মধ্যে দলীয় কোন্দল থাকায় স্বল্প সংখ্যক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। আমরা দলীয় সংকট নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
টুঙ্গিপাড়া গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জানান, ২০২৪ সালের ২২ আগস্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন গোপালগঞ্জ জেলা গণধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম। এ বছরের ৫ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে সভাপতি শাহিদ আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সহ-সভাপতি রইসুল ইসলামকে। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে কোনো বিরোধ না হলেও দলীয় কোন্দল দেখা দেয়।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম র গ প লগঞ জ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি