ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর গাজা সিটির উপকণ্ঠে আকাশ ও স্থল থেকে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে এবং আরো পরিবারকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা শহর দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার আগেই এই হামলা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার ইসরায়েলি গুলি ও হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ জন মধ্য গাজা উপত্যকার একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে থেকে খাবার সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল এবং কমপক্ষে দুজন গাজা সিটির একটি বাড়িতে ছিল।

ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্রের কার্যালয় জানিয়েছে,তারা প্রতিবেদনগুলি পর্যালোচনা করছে।

গাজা সিটির অন্যতম বৃহত্তম পাড়া শেখ রাদওয়ানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার ও রবিবার এই অঞ্চলটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গোলা ও বিমান হামলার শিকার হয়েছে, যার ফলে পরিবারগুলো শহরের পশ্চিম অংশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত তিন সপ্তাহ ধরে গাজা সিটির আশেপাশে ধীরে ধীরে তাদের অভিযান বাড়িয়েছে।

শেখ রাদওয়ানের বাসিন্দা রেজিক সালাহ বলেন, “পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণ দিকের যেসব এলাকায় লাখ লাখ লোক আশ্রয় নিচ্ছে এমন শহরগুলোর দিকে তারা এগুচ্ছে। সেই সাথে আকাশ ও স্থল থেকে বোমাবর্ষণ করছে যাতে লোকজন সেখান থেকে চলে যেতে না পারে।”

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রবিবার সন্ধ্যায় গাজা শহর দখলের পরিকল্পিত আক্রমণের পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা করতে বসবে। তারা আরো স্থল বাহিনী পাঠানোর আগে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে নিতে চায়।

শনিবার রেড ক্রসের প্রধান মিরজানা স্পোলজারিক জানিয়েছেন, শহর থেকে সরিয়ে নেওয়ার ফলে ব্যাপক জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুতি ঘটবে যাদেরকে গাজা উপত্যকার অন্য কোনো অঞ্চল গ্রহণ করতে সক্ষম নয়।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ব র ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০