সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে এনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বাঘাবাড়ী ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। 

রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করেন। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী ও চালকরা ভোগান্তি পড়েন। 

আরো পড়ুন:

নুরের ওপর হামলা: টুঙ্গিপাড়ায় ১২ নেতাকর্মী নিয়ে গণঅধিকারের বিক্ষোভ

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল রহমান গেদা জানান, গতকাল শনিবার রাতে বাঘাবাড়ীতে তাদের ইউনিয়ন অফিসে হামলা হয়। এসময় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন বিএনপির নামধারী কিছু ব্যক্তি। তারা নানা অপকর্মে জড়িত। দ্রুত হামলাকারীদের দল থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে পোতাজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আনিছ বলেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করে না। চাঁদাবাজি করছে ট্যাংক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।” 

শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলম আলী বলেন, “আজ সকাল ১০টা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী ও চালাকরা ভোগান্তিতে পড়েন। দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”   

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ