বন্দরে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় ইমাম হোসেন (২৭) নামে এক গাড়ি নিহতে ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন রুমি আক্তার বাদী হয়ে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে অজ্ঞাত নামা গাড়ি চালককে  আসামি করে বন্দর থানায় সড়ক র্দূঘটনা আইনে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। 

নিহত ইমাম হোসেন সুদূর পিরোজপুর জেলার সদর থানার তেজদাসকাঠী চলিশা এলাকার বাবুল হাওলাদারের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন ধরে তার পরিবার নিয়ে বন্দর থানার  ফুলহরস্থ আব্দুস সাত্তার মিয়ার  ভাড়াটিয়া  বাড়িতে বসবাস করে আসছিল।  

এর আগে গত শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের  লাঙ্গলবন্ধ ব্রীজের উত্তর পাশে ঢাকাগামী লেনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।

মামলা ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী রুমি আক্তারের ছোট ভাই ইমাম হোসেন পেশায় একজন ড্রাইভার। সে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বন্দর থানার ফুলহর এলাকার আব্দুস সাত্তার মিয়ার  ভাড়াটিয়া  বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টায় ফুলহরস্থ  ভাড়া বাসা হতে  স্ত্রী মোছাঃ মীম (২৩)কে টাকা নিয়া আসছি বলে বাসা থেকে বের হয়ে  পরবর্তীতে বাসায় ফিরে আসেনি। ওই রাত অনুমান আড়াইটায় প্রতিবেশী মোঃ কবির মিয়া মোবাইল নং ০১৭১২-৬৩৪২৩৪ হতে জানায় ভোর অনুমান সাড়ে ৪টায়  বন্দর থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে লাঙ্গঙ্গবন্দ ব্রীজের উত্তর ঢালে রাস্তার পারাপারের সময় অজ্ঞাতনামা গাড়ির অজ্ঞাত চালক বাদিনীর ভাই ইমাম হোসেনকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্য বরন করে।

পরবর্তীতে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে মৃতদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে পিবিআই, নারায়নগঞ্জ এর মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে বাদিনী ভাইয়ের পরিচয় শনাক্ত করেন। উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদিনী কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় এসে লাশ শনাক্ত করে।

হাইওয়ে থানা পুলিশ  মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রাক্কালে নিহতদের  পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে বিনা ময়না তদন্তে মৃতদেহ পাওয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জ, কাচপুর হাইওয়ে থানায় আবেদন করলে উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা, নারায়ণগঞ্জ মানবিক কারনে মৃতদেহ বিনা ময়না তদন্তে শরীয়াহ মোতাবেক দাফনের জন্য আমার নিকট হস্তান্তর করেন।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ দর থ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ