চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে শান্ত চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসবিরোধী নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “সুশীলতার মাধ্যমে রাষ্ট্র চালানো সম্ভব নয়—এর বড় উদাহরণ ইন্টেরিম সরকার। এক বছরের মেয়াদ অতিক্রম হলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের খুনিদের বিচার নিশ্চিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ সংস্কারে ব্যর্থতার কারণে এখনও বিপ্লবীদের ওপর প্রকাশ্যে ও গুপ্ত হামলা হচ্ছে। চবি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের হাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করি।”

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস আশা করেছিলাম। কিন্তু উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপরই হামলা হচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা সাহসী ভূমিকা রেখেছিলাম, এবং এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”

একই সেশনের আরেক শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, “আজকের অরাজকতার প্রেসক্রিপশন আসে ভারত থেকে। সরকারের উপদেষ্টা চবিতে হামলার দায় স্বীকার করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাকৃবিতে হামলা স্পষ্টতই সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অথচ হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত ইন্টেরিম সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং অন্যান্য এজেন্সির কার্যকর ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।” 

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য হামলা করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সর্বশক্তি দিয়ে ছাত্র সংসদ কার্যকর করার চেষ্টা করবে।” 

ঢাকা/লিমন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের