পরিবারের কেউ কখনো গরুর মাংস না খাওয়ার কারণ জানালেন সালমানের বাবা
Published: 1st, September 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাবা বরেণ্য চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। মুসলিম ধর্মের অনুসারী হলেও তাদের বাড়িতে উদযাপন করে থাকেন—দোল পূর্ণিমা, দীপাবলি, বড়দিন ও ঈদ। তাদের বাড়িতে গণপতি পূজাও হয়। এই ঐতিহ্য তার বাবার সময় থেকেই চলে আসছে। মুসলিম হলেও তাদের পরিবার সবসময় উদার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। তাদের বাড়িতে কেউ গরুর মাংস খান বলেও দাবি করেছেন সেলিম খান।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেলিম খান। তিনি বলেন, “ইন্দোর থেকে এখন পর্যন্ত, আমরা কখনো গরুর মাংস খাইনি। বেশিরভাগ মুসলমান গরুর মাংস খান। কারণ এটি সবচেয়ে সস্তা মাংস! কেউ কেউ তাদের পোষা কুকুরকে খাওয়ানোর জন্যও এটি কেনেন।”
আরো পড়ুন:
‘চুল কাটতে গিয়ে সালমানের কান কেটে ফেলেছিলাম’
‘এখন যে ধরনের পুরুষদের দেখছি, তাতে বিয়ে করতে ইচ্ছে করে না’
হজরত মুহাম্মদ (সা.
“নবী মুহাম্মদ (সা.) সব ধর্মের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেছিলেন। যেমন: শুধু ‘হালাল’ মাংস খাওয়া, যা তিনি ইহুদিদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন, যারা একে ‘কোশের’ বলেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি ধর্মই ভালো এবং প্রত্যেকেই আমাদের মতো একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন।” বলেন সেলিম খান।
আপনি কোরআন পড়েছেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে সেলিম খান বলেন, “আমি পবিত্র কোরআন পড়েছি। তবে ইংরেজিতে। কারণ মূল পাঠ আরবিতে। ইসলাম ধর্মের শিক্ষা ও কোরআনের শিক্ষার মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না—তা যাচাই করতে কোরআন পড়েছি। আমি খুশি হয়েছি। কারণ তেমন কোনো পার্থক্য পাইনি।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে সেলিম খান বলেন, “দুটোতেই একই রকম নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞা আছে এবং শেষ পর্যন্ত দুটোই বলে যে, সব ধর্ম এক এবং মানবতা সবচেয়ে বড় কথা।”
ব্যক্তিগত জীবনে সেলিম খান দুটো বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীর নাম সালমা খান; তার আসল নাম সুশীলা চরক। হিন্দু পরিবারের সুশীলা বিয়ের পর নাম বদলে রাখেন সালমা খান। এ সংসারে জন্ম নেয় চার সন্তান। তারা হলেন— সালমান খান, আরবাজ খান, সোহেল খান ও আলভিরা খান।
১৯৮১ সালে অভিনেত্রী হেলেন রিচার্ডসনকে বিয়ে করেন সেলিম খান। এ সংসারে তাদের কোনো সন্তান নেই। পরে অর্পিতাকে দত্তক নেন এই দম্পতি। অভিনেতা আয়ুষ্মান শর্মাকে বিয়ে করেছেন অর্পিতা।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ন বল ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন