কুষ্টিয়ায় বন্যায় প্রায় ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমির উঠতি ফসলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফসলের এই ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। 

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উঠতি ফসল ধান, পাট, সবজি, ভুট্টা, কলা ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

চিলমারী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে আকষ্মিক বন্যায় তাদের আবাদি ফসল ধান, পাট, ভুট্টা, কলা, সবজি ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ধান ডুবে যাওয়ায় তারা শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন। 

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, এ মৌসুমে আবাদের ধান দিয়ে বছরের অধিকাংশ সময় খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে থাকে চরবাসী। সেই ধানই ডুবে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। 

বন্যায় কৃষকের ফসলের ক্ষতির বিষয়ে দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো.

নুরুল ইসলাম জানান, এবারের বন্যায় চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ১ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনাসহ সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। 

এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনাসহ সার্বিক সহায়তার আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল করিমও। 

তিনি বলেন, “ফসলের ক্ষতিতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতি নিরূপণ করে তাদেরকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন য য় র ফসল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ