বাকৃবিতে একক ডিগ্রি চেয়ে ৫৬ শিক্ষকের নোট অব ডিসেন্ট
Published: 3rd, September 2025 GMT
গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষা পরিষদের অনুষ্ঠিত জরুরি সভাকে ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
সভায় গৃহীত তিনটি পৃথক ডিগ্রি (বিএসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম), বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি ) চালুর সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছে সভায় উপস্থিত প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষক।
আরো পড়ুন:
কুবিতে বানরের কামড়ে শিক্ষার্থীসহ আহত ১২
ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি নারীর স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: সাদা দল
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৬ জন শিক্ষক জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে সভায় গৃহীত ৪ ও ৫ নম্বর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সম্পুর্ণ দ্বিমত পোষণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে নোট অব ডিসেন্ট দাখিল করেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
জানা যায়, ৪ নম্বর সিদ্ধান্তে কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ও ৫ নম্বর সিদ্ধান্তে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিভিএম ডিগ্রিতে ৫০ জন ও পশুপালন অনুষদে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, শিক্ষা পরিষদের সভায় কমিটির ছয়টি সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে বলে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক নয়। সভায় মোট ১৬ জন শিক্ষক বক্তব্য রাখেন, তাদের মধ্যে ১১ জন ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। অথচ বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, কম্বাইন্ড ডিগ্রির সমাধানে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ১১টি অংশীজনের সঙ্গে ২১টি মতবিনিময় সভা করে। এর মধ্যে ৯টি অংশীজন একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর পক্ষে মত দেয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে কমিটি তিনটি পৃথক ডিগ্রির প্রস্তাব দেয়।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকদের দাবি, এটি অংশীজনদের প্রত্যাশার সঙ্গে যায়নি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় ভেটেরিনারি অনুষদের সব শিক্ষক কেবল একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর পক্ষেই একমত।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাহরাইনের প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যে ভিসা চালুর অনুরোধ
ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
উপদেষ্টা দু’দেশের জনগণের সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ভিসা পুনরায় চালুর এ অনুরোধ জানান।
বাহরাইনে ২১তম আইআইএসএস মানামা সংলাপের ফাঁকে শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন খালিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এ সময়ে ভিসা পুনরায় চালুর অনুরোধটি জানান উপদেষ্টা।
রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে তৌহিদ হোসেন কমিউনিটির কল্যাণ নিশ্চিত এবং সামাজিক সম্পর্ক মজবুতের লক্ষ্যে বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করারও অনুরোধ জানান।
বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তার দেশের সরকার ধাপে ধাপে ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কাজ করছে।
বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তরে একটি চুক্তি সম্পাদনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপের অধিবেশনের পাশপাশি আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এসব আয়োজনে বিশ্ব নেতা, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা