ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মব সৃষ্টি, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ছাত্রের মুখ চেপে ধরে তা অস্বীকার করা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সম্পাদক পরিষদের পক্ষে পরিষদ সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম এবং সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ বিবৃতি দিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা একজন ছাত্রের মুখ চেপে ধরেন। ছবিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ দাবি করে, এটি এআই-জেনারেটেড বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি। পরে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট একাধিক গণমাধ্যম ছবিটি প্রকৃত বলে নিশ্চিত হয়।

“এআই দ্বারা তৈরি ছবি বলে পুলিশের দাবি করা প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই, সম্পাদক পরিষদের সদস্যরা অবশ্যই এআইয়ের বিষয়ে অবগত এবং এআই-সংক্রান্ত কোনো ছবি পত্রিকায় ছাপলে আমরা কাগজে উল্লেখ করে দিই,” বলা হয় বিবৃতিতে।

সম্পাদক পরিষদের নেতারা বলেছেন, গত ২৮ আগস্ট ডিআরইউতে পূর্বঘোষিত একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উন্মুক্ত অনুষ্ঠান হওয়ায় হঠাৎ করেই একদল লোক ভেতরে প্রবেশ করে মব সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পরে ডিআরইউ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। মব সৃষ্টিকারীদের নিয়ে ডিআরইউর অবস্থানকে সমর্থন করে সম্পাদক পরিষদ।

নতুন করে গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটি মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত উদ্যোগ। আইনটির বিভিন্ন ধারা একই রকম রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মতামতও চেয়েছে। সম্পাদক পরিষদের মতে, এসব প্রবণতা পূর্ববর্তী সরকারের চিন্তা ও মানসিকতার প্রতিফলন। এ ধরনের পুনরাবৃত্তি পূর্ববর্তী সরকারের স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং একতরফা উদ্যোগের কথা মনে করিয়ে দেয় বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র র প রক শ উদ য গ গণম ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ

শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।

প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য। 

সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া। 

আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ