‘বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডস ফিরবো এরপর পৃথিবীর ভিন্ন প্রান্তে চ
Published: 3rd, September 2025 GMT
পল ভ্যান মিকেরেনের গল্পটা মোটামুটি সবারই জানা। পিজ্জা ডেলিভারী বয় হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু খেলার প্রতি তার ভালোবাসা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে পরবর্তীতে নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের সদস্য করে তোলে।
শুধু কি মিকেরেন? নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার আছেন যারা এখনও সপ্তাহজুড়ে ৯-৫টা কাজ করেন ভিন্ন পেশায়। উইকেন্ডে ক্রিকেটটায় মনোযোগ দেন। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেট কোচিংয়ের ভূমিকায় কাজ করছেন। ব্যাটসম্যান তেজা নিডামানুরু ও সাইব্র্যান্ড এনগ্লেরবেচ করেন করপোরেট জব। আরো আছে।
আরো পড়ুন:
বিসিবি নির্বাচনে আগ্রহ নান্নুরও
কিভাবে হবে বিসিবি নির্বাচন?
জাতীয় দলের খেলা থাকলে ছুটি নিয়ে ব্যাট-বল নিয়ে নেমে পড়েন তারা। বাংলাদেশে সফরের আগে ঠিক তেমনই কাজ করেছেন। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষটা বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়েছে। আগামীকাল সকালে সিলেট থেকে ঢাকা উড়াল দেবেন তারা। এরপর ধরবেন দেশের বিমান।
প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সফরের পর নিজ দেশে পৌঁছবেন এডওয়ার্সরা। এরপর কী করবেন? আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাদের কোনো খেলার সূচি নেই। এ সময়টায় সবাই যার যার মতো করেই কাটাবেন। অধিনায়ক এডওয়ার্স সেই কথাই বললেন সিলেটে।
‘‘আমরা অবশ্যই কিছুদিনের জন্য নেদারল্যান্ডসে ফিরে যাব, এবং তারপর ছেলেরা সবাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলে যাবে। নতুন বছরে আমরা আবার একত্রিত হব।"
২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে গতকাল শেষ ম্যাচে ভালো কিছু করার তীব্র চেষ্টা করেছিল নেদারল্যান্ডস। বিশেষ করে বোলিংয়ে ভালো করে বাংলাদেশকে অল্পরানে আটকে রাখার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি সব পণ্ড করে দেয়। তাতে হৃদয় আহত হয়েছে ডাচ অধিনায়কের,
‘‘বৃষ্টি আসলে, ব্যাট হাতে আমাদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ দেয়নি। একটা সুযোগ হাতছাড়া হলো। আজ ব্যাটিংয়ে যদি ভালো করতে পারতাম তাহলে শেষটা ভালো হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা হয়নি।’’
‘‘লিটন দাস শুরুতেই আমাদের থেকে ম্যাচটা দূরে নিয়ে যাচ্ছিল। তার শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু আমাদের বোলাররা পরবর্তীতে ফিরে আসে। এটা তাদের কৃতিত্ব। সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং প্রথম পাঁচ ওভারের পর তাদের (ব্যাটসম্যানদের) আটকে রেখেছে। ছেলেরা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে আমি গর্বিত।’’
ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বসবে এই আসর। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস করেন এডওয়ার্স।
‘‘আগামী বছর বিশ্বকাপের আগে এই কন্ডিশনের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য এটি আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। আমরা এখান থেকে অনেক কিছু নেব, এবং বিশ্বকাপ আসার আগে আমাদের কিছু জিনিস নিয়ে কাজ করতে হবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প এডওয় র আম দ র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।