সংকটে থাকা দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ধারাহিকতায় সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে গভর্নর। বৈঠকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও শীর্ষ কর্মকর্তারা একীভূতকরণের পক্ষে সম্মতি জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল পর্ষদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চায় বিএসইসি

বাকৃবিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে কর্মশালা

বৈঠক শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, “আমরা একীভূতকরণে সম্মতি জানিয়েছি। কারণ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান ঋণ স্থিতি প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এসব ঋণ সবই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।”

এদিকে, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক চলমান রয়েছে। এছাড়া গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক বৈঠক করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক একীভূতকরণের পক্ষে সম্মতি জানায়। তবে এক্সিম ব্যাংক একীভূতকরণে না গিয়ে তারা নিজেরা সক্ষমতা বাড়াতে সময় চেয়েছে। বৈঠকে এক্সিম ব্যাংক তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর একটি পরিকল্পনার খসড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করে। পরিকল্পনাটি আরো সুস্পষ্ট ও বিশদভাবে উপস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট সুস্পষ্ট ও বিশদ বর্ণনাসহ পরিকল্পনা জমা দেবে।

এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, “আমরা আমাদের সক্ষমতা আরো বাড়ানোর বিষয়ে একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের আরো স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে তা দিতে বলেছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পরবর্তী বৈঠকে বিস্তারিত পরিকল্পনা জমা দেবে।”

এর আগে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণে সম্মতি জানিয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের দ্বিমত নেই। আমানতকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক দেখবে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে এস আলম বেনামে ৩৮ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে নিজের নামে অর্থ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় বেনামি ঋণ নেওয়া হয়েছে। বেনামি ঋণের টাকা আদায় না হওয়ায় ব্যাংক এতো বিপর্যয়ে পড়েছে।”

সংকটে থাকা যেসব ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।  

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ল ব ল ইসল ম এক স ম ব য ক এক ভ ত

এছাড়াও পড়ুন:

চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিগগিরই প্রশাসকরা দায়িত্ব নেবে ৫ ব্যাংকের
  • চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
  • চারটি দলের সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হলো জাগপা
  • নারীদের আসন বাড়ানো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সুরক্ষার দাবি