মধুর সংকটে পড়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির
Published: 5th, September 2025 GMT
ঘরের মাঠে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল। চিলিকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার এ ম্যাচে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স বেশ মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। জয়ের পর দলের খেলা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি।
মারাকানা স্টেডিয়ামে পরিবেশের প্রশংসা করার পাশাপাশি আনচেলত্তি প্রশংসা করেছেন বদলি নেমে ম্যাচের চিত্র বদলে দেওয়া লুইস হেনরিকেরও। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য দল নির্বাচন নিয়েও নিজের মতামত দিয়েছেন ইতালিয়ান এই কোচ। বিশেষ করে তারকাদের ছাড়া ব্রাজিল এ ম্যাচে যেভাবে খেলল, তা আসলে বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ে আনচেলত্তিকে মধুর সংকটেও ফেলল।
মারাকানায় আজ বাংলাদেশ সময় সকালে ব্রাজিল–চিলির ম্যাচ উপভোগ করতে উপস্থিত ছিলেন মাঠে প্রায় ৫৭ হাজার দর্শক। গ্যালারি থেকে দর্শকেরা যেভাবে খেলোয়াড়দের উজ্জ্বীবিত করেছেন, তা বেশ মুগ্ধ করেছে আনচেলত্তিকে। জয়ের পর ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘মারাকানার পরিবেশ অসাধারণ ছিল। দলের প্রতি সমর্থকদের অনেক ভালোবাসা দেখেছি। আমরা ছন্দ ও রক্ষণ ধরে রেখে গতিময় ফুটবল খেলেছি। সমর্থকেরা যেমন খুশি, দলের পারফরম্যান্সে আমরাও তেমন খুশি।’
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার মাটিতে ‘লাস্ট ড্যান্স’ রাঙালেন মেসি৪ ঘণ্টা আগেআনচেলত্তি যোগ করেন, ‘আমরা খুব সিরিয়াস একটা ম্যাচ খেলেছি, বিশেষ করে প্রথমার্ধে বেশ গুছিয়ে রক্ষণ সামলেছি। পরে যখন গোলের দেখা পেলাম, খেলা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে চিলি কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, আর তখনই দ্বিতীয় গোলের সুযোগ আসে।’
ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে কার্লো আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।