ইসলামাবাদে ধর্ম উপদেষ্টাকে সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসলামাবাদে মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল মন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ তার কার্যালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে অভ্যর্থনা জানান।

পরে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত করার লক্ষ্যে ধর্মীয় ডেলিগেশন প্রেরণের বিষয়ে দুজন ঐকমত্য পোষণ করেন।

বাংলাদেশকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির মডেল হিসেবে অভিহিত করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে ৯১ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান। এদেশে সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকজনও বসবাস করে।”

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ পুরোপুরি বজায় রয়েছে। সেখানে যেকোনো নাগরিক স্বচ্ছন্দে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে তার ধর্ম পালন ও ধর্মচর্চা করতে পারেন।”

হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী জানান, সে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করেন। বাকি ৩৩ শতাংশ  বেসরকারি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করে থাকেন।

এ সময় পাকিস্তানের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

সৈয়দ আতা উর রেহমান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর মুহাম্মদ তৈয়ব আলী উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে বর্তমানে সে দেশের ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন ধর্ম উপদেষ্টা। এই সফরে উপদেষ্টা পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনের ৫০তম সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিঞা মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে ধর্ম উপদেষ্টার।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ব দ মন ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

২৭০ দিন আলোচনার পর অনৈক্যে হতাশ উপদেষ্টা

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ২৭০ দিন আলোচনার পরও ঐকমত্য না হওয়ায় তিনি বলেন, সরকার কীভাবে কাজ করবে, তা বোঝা কঠিন। গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে মতভেদ চরমে পৌঁছেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গণভোট অথবা নির্বাচিত সংসদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য ঐকমত্যের সরকারের ধারণাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত, আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
  • তড়িঘড়ি না করে সংবিধান সংস্কারে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
  • কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
  • ঐকমত্য কমিশন হাজির করেছে অনৈক্যের দলিল: বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন
  • জুলাই সনদ নিয়ে জট খুলুন, সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে
  • সমস্যা সমাধান করে নির্বাচনের পথে এগোন: অন্তর্বর্তী সরকারকে মির্জা ফখরুল
  • অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই প্রকাশিত
  • সুপারিশ নিয়ে বিতর্ক, কতটা যৌক্তিক
  • গণভোট নিয়ে ‘ক্রসরোডে’ সরকার
  • ২৭০ দিন আলোচনার পর অনৈক্যে হতাশ উপদেষ্টা